• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘আবিষ্কার’ জিকা ভাইরাসের জৈবিক কাঠামো


নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ৩, ২০১৬, ০৪:৪৫ পিএম
‘আবিষ্কার’ জিকা ভাইরাসের জৈবিক কাঠামো

সোনালীনিউজ ডেস্ক

একই শ্রেণির ডেঙ্গু ও ইয়েলো ফিভারের মতো ফ্ল্যাভিভাইরাসের গঠনের সঙ্গে বাইরের স্তরে প্রোটিনের খোলসে একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে জিকার।
এই পার্থক্য থেকেই একই গ্রুপের অন্যান্য ফ্ল্যাভিভাইরাস স্নায়ুকোষ আক্রান্ত না করলেও জিকা কেন করে সে বিষয়টি ব্যাখ্যা করা এবং তা থেকে জিকা প্রতিরোধে প্রতিষেধক বা ওষুধ তৈরির নতুন পথ পাওয়া যাবে বলে ধারণা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেক্সাস ডিজিজের পরিচালক ড. অ্যান্থনি ফসি।

প্রতিষ্ঠানটির অর্থায়নে পারড্যু বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের এই গবেষণা সাইন্স সাময়িকীকে প্রকাশিত হয়েছে। গর্ভবতী মা মশাবাহিত এ রোগে আক্রান্ত হলে তার অনাগত শিশুর মাথা স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট হতে পারে, মস্তিষ্কের গঠন থাকতে পারে অপূর্ণ। এ রোগকে বলে মাইক্রোসেফালি।  ফলে এইসব শিশুরা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী, শারীরিক প্রতিবন্ধী এমনকি তাদের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

(Kuhn and Rossman Research Groups / Purdue University) ডেঙ্গু রোগের জীবাণুর মতো জিকা ভাইরাসের বাহক এডিস এজিপ্টি মশা।  গত বছর মে মাসে ব্রাজিলে জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর সেখানে মাইক্রোসেফালিতে আক্রান্ত শিশু জন্মের হার আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যায়।
এরপর বিশ্বের প্রায় ৩৩টি দেশে এই ভাইরাস সংক্রমণের চিহ্ণ পাওয়া গেলে বিশ্ব জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

জিকা ভাইরাসের সংক্রমণে কারও মৃত্যু না হলেও স্নায়ুবিক কোষ, যেগুলো মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্র গঠন করে জিকা ভাইরাস তা ধ্বংস বা এর বৃদ্ধি ব্যাহত করতে পারে বলে গবেষণায় দেখা গেছে।

এর আগে মেডিকেল জার্নাল সেল স্টেম সেলে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, জিকা ভাইরাস মস্তিষ্কের কর্টেক্স বা বহিঃস্তরের কোষকে বেছে বেছে আক্রমণ করে: ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোষের মৃত্যু হয় এবং অন্যদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও নতুন কোষ তৈরি ব্যহত হয়’।

জৈব-আনবিক গঠনের বাইরের খোলসে পাওয়া ওই প্রোটিনই কিছু মানব কোষের সঙ্গে জুড়ে গিয়ে মানুষের স্নায়ুতন্ত্রে প্রবেশ করতে পারে বলে ধারণা ওই গবেষক দলের।
রয়টার্সকে ড. অ্যান্থনি ফসি বলেন, “গবেষকরা এখনও এটা প্রমাণ করেনি; কিন্তু এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র (কীভাবে জিকা স্নায়ু কোষে যায়)।”

জৈব-আনবিক গঠনে পাওয়া ওই প্রোটিনই স্নায়ুকোষে ঢোকার কারণ হলে রোগটির প্রতিষেধক আবিষ্কারে এটি কার্যকরভাবে কাজে লাগানো যাবে বলে আশা গবেষকদের।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!