• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘খালেদা জিয়ার বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহমূলক নয়&rs


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ২৪, ২০১৬, ০৩:০৫ পিএম
‘খালেদা জিয়ার বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহমূলক নয়&rs

সোনালীনিউজ ডেস্ক

মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে খালেদা জিয়ার বক্তব্যে রাষ্ট্রদ্রোহিতার কিছু নেই, বরং তার বক্তব্য সঠিক ছিল বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন।
আজ রোববার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের বার ভবনের নিজ কার্যালয়ে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপির চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক সংখ্যা নির্ণয় হওয়া দরকার। কেননা যাদের রক্তে এ দেশ রঞ্জিত হয়েছে, তাদের তালিকা না থাকাটা লজ্জাস্কর বিষয়। মুক্তিযুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের বিষয়ে সঠিক তথ্য থাকলে তাদের পরিবারের জন্য সাহায্য সহযোগিতা করা যায়।’
খালেদা সঠিক বক্তব্য দিয়েছেন মন্তব্য করে বলেন, ‘ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১২৪ (ক) ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহের যে সংজ্ঞা রয়েছে, খালেদা জিয়ার বক্তব্য তার মধ্যে পড়ে না। ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী সরকারকে উৎখাতের জন্য জঙ্গি কার্যক্রম করলে রাষ্ট্রদ্রোহ হয়। এই জিনিসটি এখানে করা হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে আমরা মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের বিষয়ে সঠিক তথ্য নিশ্চিত করব।’ এ বিষয়টি বিএনপির আগামী নিবার্চনী ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানান তিনি।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার কারণে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গত ২১ জানুয়ারি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করার অনুমতি দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক মমতাজউদ্দীন আহমেদের আবেদন বিবেচনায় এনে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করার অনুমতি দেওয়া হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে করা ওই আবেদনে বলা হয়, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। এ ছাড়া জাতির পিতা ও আওয়ামী লীগ নিয়েও বিরূপ মন্তব্য করেছেন তিনি। এসব সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত এবং প্রতিষ্ঠিত বিষয়। এ বিষয়ে নতুন করে বিতর্কের অবতারণা করায় তাঁর অপরাধ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল বলে মনে করা হচ্ছে। খালেদা সংবিধান লঙ্ঘন করে কথা বলেছেন এবং রাষ্ট্রদ্রোহমূলক অপরাধ করেছেন। আইনি নোটিশ দেওয়ার পরও তিনি ক্ষমা চাননি বা বক্তব্য প্রত্যাহার করেননি।
গত ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে খালেদা জিয়া বলেন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে। 
তিনি বলেন, ‘আজকে বলা হয়, এত লাখ লোক শহীদ হয়েছে। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে খালেদা জিয়া দাবি করেন, তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না।
সোনালীনিউজ/আমা

Wordbridge School
Link copied!