• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অক্টোবরে সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেবে বিএনপি


সোনালী বিশেষ সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৭, ১০:৫৮ এএম
অক্টোবরে সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেবে বিএনপি

ঢাকা : আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে দেশের বৃহত্তম দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। সংবিধানের আলোকেই নির্বাচন করতে চায় ক্ষমতাসীরা অন্যদিকে বিএনপির দাবি নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার।

দলীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, লন্ডন থেকে ফিরে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেই সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেবেন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

নির্বাচনকালীন ‘সহায়ক সরকারের’ রূপরেখা চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। আগামী অক্টোবর মাসকে টার্গেট করে এটি উপস্থাপনের কাজ চলছে। চিকিৎসা শেষে লন্ডন থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ফেরার পর জাতির সামনে এই রূপরেখা তুলে ধরা হবে।

বিএনপি নেতারা মনে করছেন, রূপরেখার পর ক্ষমতাসীনরা তাদের অবস্থান থেকে সরে এসে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তারা ভব্যিষতে এমন ভুল করবে না বলেও বিশ্বাস বিএনপি নেতাদের।

যদিও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাদ দিয়ে সংবিধান সংশোধন করার পর থেকেই বিএনপি আন্দোলন করে আসছে। তবে তাদের নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের দাবিকে শুরু থেকেই নাকচ করে দিয়েছে ক্ষমতাসীনরা।

জানা গেছে, বিএনপির সহায়ক সরকারের রূপরেখার জন্য ২০ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর কাছে মতামত চাওয়া হয়। পরে তারা মতামত দিলে সেটির আলোকেই এই রূপরেখা তৈরি শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সরকারের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ রেখেই প্রস্তাবনা তুলে ধরবে বিএনপি।

আলোচনায় সাড়া না পেলে দাবি আদায়ে দলটি রূপরেখা নিয়ে জনমত গড়ে তোলার চেষ্টা করবে। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতেই এই রূপরেখার সঙ্গে বিএনপি তাদের জোটের শরিকদের যুক্ত করেছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, এই মুহুর্তে জনগণের প্রত্যাশা হচ্ছে সুষ্ঠুভাবে তাদের ভোটাধিকার ফিরে পাওয়া। আর আমরা দেশের বৃহত্তম দল হিসেবে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে আমাদের একটা দায়িত্ব আছে। সেই দায়িত্ববোধ থেকেই আমাদের দেশনেত্রী খালেদা জিয়া নিবাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখা একটা প্রস্তাব দিবেন। তিনি বিদেশে গেছেন দেশে ফিরে উপযুক্ত সময়ে সেই প্রস্তাব দেবেন।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমাদের বিশ্বাস বিএনপি প্রধানের সেই প্রস্তাব সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করবে। এটি কারো পক্ষেও হবে না কারো বিপক্ষেও হবে না। তবে সকল পার্টি সমঝোতা না হলে দেশে একটা সুষ্ঠু নিবাচন সম্ভব হবে না। আমরা একটা প্রস্তাব দেব। সরকার বলবে মানি না। তারা আরও বলবে,আমাদের অধীনেই নির্বাচন করতে হবে। 

একই বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী বলেন, সহায়ক সরকারের রূপরেখা তৈরি করা আছে। ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) লন্ডন থেকে ফেরার পরই জাতির সামনে তা তুলে ধরা হবে। তিনি বলেন, বিএনপি সব সময় নির্বাচনমুখী দল। সরকার সাড়া না দিলে সহায়ক সরকারের দাবিতে আমরা জনমত গড়ে তুলব।

এছাড়া জাটের শরিক বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি বলেন, সহায়ক সরকার নিয়ে আমাদের মতামত চাওয়া হয়েছে। আমরাও সেটি জমা দিয়েছে। তিনি জানান, শরিকদের মতামত নিয়ে সম্মিলিতভাবে সহায়ক সরকারের রূপরেখা ঘোষণা করবেন জোটনেত্রী খালেদা জিয়া।

প্রসঙ্গত, লন্ডনে মরফিল্ড চক্ষু হাসপাতালে গত ১০ আগস্ট খালেদা জিয়ার ডান চোখের অস্ত্রোপচার হয়। বর্তমানে তিনি বড় ছেলে ও দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় আছেন। অস্ত্রোপচারসহ সার্বিক চিকিৎসা প্রক্রিয়া সরাসরি তত্ত্বাবধান করছেন তারেক রহমান। এছাড়া পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান ও শর্মিলা রহমানও সেখানে তাকে সার্বক্ষণিক দেখভাল করছেন।

গত ১৫ জুলাই খালেদা জিয়া চোখ ও পায়ের চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান। তিনি পুরোপুরি চিকিৎসা শেষ করে দেশে ফিরবেন। তাই এবারের ঈদুল আজহা খালেদা জিয়া লন্ডনে ছেলে, দুই পুত্রবধূ ও নাতনিদের সঙ্গে উদযাপন করছেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!