• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অতিরিক্ত ভার বহনে নিষেধাজ্ঞায় খুশি শিশুরা


এমএ ইউসুফ ডিসেম্বর ৮, ২০১৬, ১১:৪৪ এএম
অতিরিক্ত ভার বহনে নিষেধাজ্ঞায় খুশি শিশুরা

ঢাকা: স্কুলগামী শিশুদের ভারী স্কুলব্যাগ বহন নিষিদ্ধে ৬ মাসের মধ্যে আইন প্রণয়ন করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া আইন প্রণয়নের আগ পর্যন্ত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে শিশুদের শরীরের ওজনের ১০ শতাংশের বেশি ভারী স্কুলব্যাগ বহন করা যাবে না- এ মর্মে একটি সার্কুলার জারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উচ্চ আদালতের এ নির্দেশনায় স্বস্তি ফিরেছে শিশু শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি তাদের অভিভাবকদের মাঝেও। এ ধরনের অতিরিক্ত ব্যাগ বহন করার কারণে শিশুরা মারাত্মক সব শারীরিক সমস্যার ভুগছে বলে জানিয়েছেন শিশু রোগ বিশেষজ্ঞরা।

আর শিক্ষাবিদদের মতে, আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রয়োজন যথাযথ নজরদারি।

স্কুল ব্যাগ নয়, যেন একেকটি বোঝা। যা দিনের পর দিন বহন করে চলেছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। আর এ বোঝা বহন করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের কতটা যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় তা ফুটে উঠেছে তাদেরই কথায়।

এক শিশু শিক্ষার্থী জানায়, এতগুলো বইয়ের ভার বহন করতে তার অনেক কষ্ট হয়। তার কাঁধ থেকে কিছু বই কমিয়ে দিলে একটু হালকা হয়। এত বই নিয়ে সে হাঁটতে পারে না, দৌড়াতেও পারে না। আদালত এমন নির্দেশনা দিয়েছে, এতে সে খুশি কি না জানতে চাইলে সে বলে, তাই নাকি? কী মজা! আদালতকে অনেক ধন্যবাদ। কাল থেকে আমি বই কমিয়ে আনবো।

আরেক ঢাকা গভ: মুসলিম হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী যায়েদ জানায়, সকাল বেলা এত্তগুলো বই নিয়ে স্কুলের আসার সময় খুব একটা কষ্ট না হলেও বিকালে স্কুল ছুটির সময় ব্যাগটা আর কাঁধে তুলতে ইচ্ছা করে না। তখন অনেক ক্ষুধা লাগে। শরীরটাই যেন চলতে চায় না। ওই সময় ব্যাগটা নিতে অনেক কষ্ট হয়।

এ ধরনের অতিরিক্ত ওজনের ব্যাগ বহনের কারণে শিশুরাও মারাত্মক সব শারীরিক সমস্যায় ভুগছে।

এ অবস্থায় শিশু শিক্ষার্থীদের দুর্দশার কথা তুলে ধরে গত বছরের ৯ আগস্ট তিন জন আইনজীবী উচ্চ আদালতে রিট করেন। দীর্ঘ শুনানির পরে স্কুল ব্যাগ বহন করা শিশুদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি বলে উল্লেখ করা হয়। আদালতের এ রায়কে সাধুবাদ জানিয়ে তা বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়রে নজরদারি প্রয়োজন বলে মনে করেন গণস্বাক্ষর অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী।

উচ্চ আদালতের এ রায়ে অনেকটা স্বস্তি ফিরেছে অভিভাবকদের মাঝে। বর্তমানে একজন শিক্ষার্থীকে প্রতিদিন অন্তত আটটি বিষয়ের ওপর ক্লাস করতে হয়। প্রতিটি বিষয়ের একাধিক বই সিলেবাসভুক্ত করে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

আদালতের নির্দেশে এ রায় বাস্তবায়ন করবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ

Wordbridge School
Link copied!