• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অথচ এই রাজ্জাক ৪ বছর দলেই ছিলেন না!


ক্রীড়া ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৮, ০২:১৬ পিএম
অথচ এই রাজ্জাক ৪ বছর দলেই ছিলেন না!

ঢাকা: লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার সময় সতীর্থ-দর্শকদের অভিনন্দনে সিক্ত হয়েছেন। তা আব্দুর রাজ্জাকের এমন হওয়ারই কথা। দীর্ঘ চার বছর দলে ফিরে যেটি করলেন সেটি অনন্য সাধারণ। লাঞ্চের আগেই শ্রীলঙ্কার তিনটি উইকেট তুলে নিয়ে কোমর ভাঙার কাজটা করেছেন। লাঞ্চ থেকে ফিরেই ৬৮ রান করা কুশল মেন্ডিসকে সরাসরি বোল্ড করে ফিরিয়েছেন। হয়ে গেল ৪ উইকেট।

 পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, ঢাকা টেস্ট নিয়ে ১৩ তম টেস্ট খেলছেন রাজ্জাক। এটি রাজ্জাকের সেরা বোলিং ফিগার। এ প্রতিবেদন লেখার সময় শ্রীলঙ্কা ১৬৫ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়েছে। বাকি ৩টি উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম।ভাগ্য সহায় হলে রাজ্জাক হয়তো ৫ উইকেটও পেয়ে যেতে পারেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো এই যে রাজ্জাক গত চার বছর ধরে টানা উপেক্ষিত থাকলেন, এর দায় কে নেবে? এমন নয় যে, ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি পারফর্ম করতে পারেননি।

সেখানে তরুণদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে টপাটপ উইকেট তুলে নিয়েছেন রাজ্জাক। কিছু দিন আগে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫০০ উইকেট শিকারের মাইলফলক ছুঁয়েছেন। এটা তো আর এমনি এমনি হয়নি। রাজ্জাককে নিয়ে বিস্তর লিখেও কাজ হয়নি, চন্ডিকা হাথুরুসিংহের একগুয়েমির কারণে। সাদা পোশাকে প্রত্যাবর্তনেই দুর্দান্ত বোলিং করে রাজ্জাক অনেকগুলো প্রশ্ন ছুরে দিয়েছেন। হাথুরু তাঁকে দেখতে না পেলেও নির্বাচক বা টিম ম্যানেজম্যান্ট কী করেছে? এত অভিজ্ঞ একজনকে বাইরে রাখার কী যুক্তি দিতে পারবেন তারা? রাজ্জাক কী ফিরে পাবেন গত চারটি বছর? তিনি যত ভালো পারফর্ম করবেন এ প্রশ্নগুলো উঠবেই।

এদিন ১৭ তম ওভারে ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে ফেরান আরেক স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ঢাকা টেস্টের সকালের সেশনেই মাহমুদউল্লাহ রাজ্জাকের হাতে বল তুলে দেন। করুনারত্নের উইকেট তুলে নেওয়ার পর ২৮ তম ওভারের প্রথম বলেই দানুশকা গুনাথিলাকাকে (১৩) মুশফিকুর রহীমের ক্যাচ বানান রাজ্জাক। পরের বলেই তিনি শূন্য রানে বোল্ড করে ফেরান অধিনায়ক দিনেশ চান্ডিমালকে। হ্যাটট্টিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে হয়নি।

৯৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে পথ হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। ৮১ বলে ফিফটি করা ওপেনার কুশল মেন্ডিস লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার সময় অপরাজিত ছিলেন ৬৪ রানে। লাঞ্চ থেকে ফিরে আর মাত্র ৪ রান যোগ করে ৬৮ রানে রাজ্জাকের বলে বোল্ড হয়েছেন। ৫৯ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন রাজ্জাক।  ৬২ রানে ৩টি উইকেট শিকার করেছেন তাইজুল ইসলাম।

চট্টগ্রাম টেস্টে টিম ম্যানেজম্যান্ট যে রাজ্জাককে না খেলিয়ে বিরাট ভুল করেছিল এবার নিশ্চয় তারা বুঝতে পেরেছে। আর বর্ষিয়ান এই স্পিনার হাথুরুসিংহেকেও একটা জবাব দিলেন। তাঁর আমলেই যে অপাঙক্তেয় ছিলেন রাজ্জাক।

সোনালীনিউজ/আরআইবি/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!