• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘অনন্ত জলিলের মতো মানুষওতো টিকতে পারলেন না’


বিনোদন প্রতিবেদক মে ২৩, ২০১৭, ০৫:১৫ পিএম
‘অনন্ত জলিলের মতো মানুষওতো টিকতে পারলেন না’

ঢাকা: বর্তমানে বাংলা চলচ্চিত্রে যে সংকট বিরাজ করছে তার জন্য ভালো প্রযোজনা ব্যবস্থা গড়ে না উঠাকেই দায়ি করলেন বর্তমান চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি গুলজার আহমেদ। মঙ্গলবার দুপুরে এফডিসিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলা চলচ্চিত্রের সংকট নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে এমন কথা বলেন তিনি। 

বেশ কিছুদিন ধরেই একের পর এক ঘটনার মধ্য দিয়ে অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির আঁতুর ঘর এফডিসি। সাম্প্রতিক বেশকিছু কর্মকাণ্ডে এখন তুমুল বিতর্কের মুখে পুরো ইন্ডাস্ট্রি। বিশেষ করে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সাম্প্রতিক কিছু সিদ্ধান্তের কারণে ইন্ডাস্ট্রির নেতিবাচক দিকগুলোই ছড়িয়ে যাচ্ছিলো চারদিকে। এমন অবস্থায় চলচ্চিত্রের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে পরিচালক সমিতি।

পরিচালক সমিতির আহ্বানে যেখানে উপস্থিত হন দেশের অনলাইন, টিভি ও সংবাদপত্রের কর্মীরা। আর এখানেই সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে তিন পৃষ্ঠার একটি কর্মসূচি পাঠ করে শুনান পরিচালক সমিতির সভাপতি গুলজার আহমেদ। যেখানে উঠে আসে বর্তমান চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি ক্ষমতায় যাওয়ার পরবর্তী সফল কর্মসূচিগুলোর কথা। এমনকি নিকট ভবিষ্যতে চলচ্চিত্রের স্বার্থে যেসব সুন্দর কর্মসূচিগুলো তারা হাতে নিয়েছেন সেগুলোও উঠে আসে সংবাদ সম্মেলনে। 

দিনের পর দিন চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি ভেঙে পড়ছে। ভালো ও মান সম্মত সিনেমা তৈরি হচ্ছে না, যা কয়েকটা হচ্ছে তার বেশীর ভাগই নকলের অভিযোগে অভিযুক্ত। এমন প্রশ্নে গুলজার আহমেদ বলেন, আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে এখন ভালো প্রযোজক নেই। বর্তমান প্রযোজক সমিতির বেহাল দশা। যারা প্রফেশনাল প্রযোজক ছিলেন তারা এখন নতুন ছবি প্রডিউস করছেন না। একের পর এক সিনেমা প্রদর্শক ও সিনেমা মালিকদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে হতে এই ইন্ডাস্ট্রি থেকেই বিদায় নিয়েছেন তারা। ন্যায্য পাওনা প্রযোজকের হাতে আসে না। ডিস্ট্রিবিউটর ও সিনেমা প্রদর্শক সমিতি যারা করেন তাদের অসততার কারণে পুরনো প্রযোজকরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। এইজন্য আমরা বারবার ই-টিকেটের ব্যবস্থা করতে বলেছি। এখনো সরকারের কাছে ডিজিটাল সিনেমা হল তৈরি করে এসব বিষয় সুষ্ঠুভাবে দেখাশোনা করার কথা বলছি। যেগুলো বাস্তবায়ন হলে টিকেটের টাকা নিয়ে যে কারচুপি করা হয় তার একটা গতি হবে।  

বাংলা সিনেমাকে মান সম্মত জায়গায় নিয়ে যেতে পেশাদার প্রযোজকের বিকল্প নেই জানিয়ে গুলজার আহমেদ আরো জানান, সিনেমা ডিস্ট্রিবিউটর, প্রদর্শক সমিতি ও হল মালিকদের নানা অসততার বিরুদ্ধে অনন্ত জলিলের মতো মানুষওতো টিকতে পারলেন না। এখন যারা সিনেমা প্রডিউস করতে আসছে, তারা একেবারে নতুন। ওয়ান-টাইম। দুয়েকটা ছবি করার পর আর সিনেমা প্রডিউস করছেন না। আপনারা হয়তো অনেকে জানেন, ‘মেন্টাল’ নির্মাতা নিজের ফ্ল্যাট বাসা বাড়ি বিক্রি করে সিনেমাটা করলো। এখন শুনি সব হারিয়ে তিনি রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ান। ভালো সিনেমার জন্য দক্ষ এবং প্রফেশনাল প্রডিউসারে কোনো বিকল্প নেই। আমরা পরিচালক সমিতি সেই বিষয়টিও নিশ্চিত করতে সরকার, আগের প্রডিউসার সবার সাথে কথা চালিয়ে যাচ্ছি।

এরআগে সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই জানানো হয় যে, বাংলাদেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১জন’-এর কলাকুশলীদের সংবর্ধনা দেবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি। আসছে ২৫ মে চাষী নজরুল ইসলামের পরিচালনায় এই ছবিটির কলাকুশলীদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। যেখানে উপস্থিত থাকবেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। ছবির শিল্পীদের মধ্যে থাকার কথা রয়েছে চিত্রনায়ক রাজ্জাক, শাবানা ও হাসান ইমামের মতো কিংবদন্তি অভিনেতাদের। 
 
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিএল

Wordbridge School
Link copied!