ঢাকা: অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর তথ্য দিতে গড়িমসি করছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একাধিকবার তাগাদা দিয়েও সাড়া মিলছে না। তাই আবারও অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
কিছুদিন আগে দেশের বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসী হামলায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলার পর অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের তালিকা করার উদ্যোগ নেয় সরকার। এ জন্য অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর তথ্য সরবরাহ করতে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেয়া হয়। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একাধিবার বিষয়টি তাগাদা দিলেও স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের তথ্য দেয়নি।
এ অবস্থায় পুনরায় তথ্য চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ও কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকে চিঠি দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
গত ২৩ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব সালমা জাহান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, যেসব শিক্ষার্থী যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া দীর্ঘদিন (কমপক্ষে ১০ দিন) অনুপস্থিত রয়েছে ছক অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা উল্লেখ করে তাদের তথ্য পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু অদ্যাবধি তা পাওয়া যায়নি।
চিঠিতে তাই ছক অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীর আইডি নম্বর ও ডিপার্টমেন্ট, ছাত্র-ছাত্রীর নাম, পিতার নাম, স্থায়ী ঠিকানা, বর্তমান ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, অনুপস্থিতির কারণ এবং অনুপস্থিতিকাল, প্রতিষ্ঠানের গৃহীত পদক্ষেপের তথ্য জানাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া ১০ দিনের বেশি অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের শনাক্ত করে তথ্য দিতে গত ১০ জুলাই মন্ত্রণালয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দেয়। পরে গত ১০ আগস্ট ও ৮ সেপ্টেম্বরও এ বিষয়ে তাগিদ দেয়া হয়। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে কোন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।
চলতি বছর ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এ হামলায় মোট ২৮ জনের প্রাণহানি হয়। এর রেশ কাটতে না কাটতেই ঈদুল ফিতরের দিন (৭ জুলাই) কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহের কাছে সন্ত্রাসী হামলায় ৪ জন মারা যায়। এ দুটি ঘটনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। এ শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে নিরুদ্দেশ ছিলেন।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই/ জেডআরসি
আপনার মতামত লিখুন :