• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

অনুশোচনায় ঘুমাতে পারেননি রুবেল


ক্রীড়া প্রতিবেদক মার্চ ১৯, ২০১৮, ০৪:০৬ পিএম
অনুশোচনায় ঘুমাতে পারেননি রুবেল

ঢাকা: কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে বাংলাদেশ বনাম ভারতের মধ্যেকার ম্যাচটি কত মানুষের ঘুম কেড়ে নিয়েছে তা বলা সম্ভব নয়। তবে টাইগারদের ইয়র্কার স্পেশালিষ্ট রুবেল হোসেন যে ঘুমাতে পারেননি তা নিশ্চিত করেই বলা যায়। এই পেসারের ধারণা ইনিংসের ১৯তম ওভারে তার দেয়া ২২ রানই কাল হয়েছে বাংলাদেশের জন্য। আর এই অনুশোচনায় ঘুম আসেনি রুবেলের।  

রোববার (১৮ মার্চ) ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফাইনালে টস হেরে আগে ব্যাট করতে বাধ্য হয় বাংলাদেশ দল। তারা ১৬৬ রানের পুঁজি পায়। যদিও এই টুর্নামেন্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাওয়া বাংলাদেশের  দুইটি জয়ই এসেছিল পরে ব্যাট করে। তাই অনেকেই ভেবেছিলেন ভারতের সামনে ১৬৭ রানের লক্ষ্যমাত্র তেমন কিছু না। কিন্তু সাকিব আল হাসান, রুবেল হোসেন আর মোস্তাফিজরা এই টার্গেটই বড় বানিয়ে ফেলেছিল।  

যে কারণে ভারতের ব্যাটিং ইনিংসের মাঝামাঝি ছিল টান টান উত্তেজনা। ক্ষণে ক্ষণে পাল্টে যাচ্ছিল ম্যাচের রং। বিজয়ের উন্মাতাল হাওয়া কখনো বাংলাদেশের দিকে আবার কখনো ভারতের দিকে যাচ্ছিল। এমন রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের ফলাফলটির জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে শেষ ওভারের শেষ বলটি পর্যন্ত। স্নায়ু যুদ্ধের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত ২ উইকেটে জয় পায়। শেষ বলে দিনেশ কার্তিকের এক ছক্কায় সব স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের।

একটা পর্যায়ে শেষ দুই ওভারে ভারতের জয়ের জন্য প্রয়োজন পড়ে ৩৪ রান। মানে ১২ বলে ৩৪ রান। ক্রিজে ছিলেন দিনেশ কার্তিক এবং ওয়াশিংটন সুন্দর। ১৯তম ওভারে রুবেল হোসেনের হাতে বল তুলে দিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। প্রথম বলেই ছক্কা মারলেন দিনেশ কার্তিক। পরের বলে চার, তৃতীয় বলে আবারও ছক্কা! পরের দুই বল থেকে এল ২। কিন্তু শেষ বলে আবারও চার মেরে খেলাটাকে পুরোপুরি নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে নেয় ভারত। তার মানে ২২ রান দিয়ে খলনায়ক বনে গেলেন রুবেল।  

পরের ঘটনা তো সবারই জানা। সৌম্য সরকারকে দিয়ে জুয়া খেলতে চাইলেন সাকিব। প্রায় জিতে যাচ্ছিলেন সাকিব। শেষ বলে ভারতের দরকার ৫ রান। সৌম্য বল করলেন কিন্তু টাইগারদের স্বপ্ন ভেঙে জিতল ভারত। শেষ বলে দিনেশ কার্তিকের এক ছক্কায় সব স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের।

ইশ! রুবেল হোসেন যদি সেই ওভারে ২২ রান না দিত। তাহলে হয়তো ইতিহাস কথা বলত বাংলাদেশের হয়েই। এই অনুশোচনায় ঘুমাতে পারেননি রুবেল। নিজের ফেসবুক পেজে মনের কষ্ট তুলে ধরেছেন রুবেল। চেয়েছেন দেশবাসীর কাছে ‘ক্ষমা’ প্রার্থনা করেছেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে নিজের অফিসিয়াল পেজে দেয়া স্ট্যাটাসে নিজেকেই দায়ী করেছেন পেসার রুবেল হোসেন। তিনি লিখেছেন, ‘ম্যাচ শেষ হওয়ার পর থেকে খুব খারাপ লাগছে। সত্যি বলতে কি, কখনোই ভাবিনি আমার কারণে বাংলাদেশ দল জয়ের এত কাছে এসেও ম্যাচ থেকে এভাবে ছিটকে যাবে। সবার কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমাকে ক্ষমা করে দেবেন সবাই।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!