• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘অন্যায় দেখলে বিচার বিভাগ হস্তক্ষেপ করেছে’


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ১৫, ২০১৬, ০২:১৮ পিএম
‘অন্যায় দেখলে বিচার বিভাগ হস্তক্ষেপ করেছে’

দেশের ক্রান্তিলগ্নে বিচার বিভাগ কখনো পিছপা হয়নি উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, ‌‘যখনই কোনো অন্যায় দেখেছে বিচার বিভাগ সেখানেই হস্তক্ষেপ করেছে।’

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সোমবার সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণা করে এ কথা বলেন প্রধান বিচারপতি।

তিনি বলেন, ‌‘কতিপয় বিপথগামী সেনা সদস্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে এই দিনে নির্মমভাবে হত্যা করে। কিন্তু তৎকালীন সরকার হত্যাকারীদের বিচারের পথ বন্ধ করে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি ও খুনিদের পুরস্কৃত করে।’

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘দেশের বিচার বিভাগ এই ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে বিচারের পথ প্রশস্ত করে। শুধু বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলাই নয়, জেল হত্যা মামলার জন্য সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী, অষ্টম সংশোধনী এবং ত্রয়োদশ সংশোধনী সুপ্রিম কোর্ট বাতিল ঘোষণা করে। সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া এসব রায়ই প্রমাণ করে, বিচার বিভাগ দেশের ক্রান্তিলগ্নে কখনই পিছপা হয়নি। যখনই কোনো অন্যায় দেখেছে সেখানেই হস্তক্ষেপ করেছে।’

সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন, ‘রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের মধ্যে বিচার বিভাগকে যথাযথ মর্যাদা ও স্বীকৃতি দিতে অনেকেই পিছপা হতেন। নির্বাহী বিভাগ ও জাতীয় সংসদের পাশাপাশি বিচার বিভাগও যে রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ সেটি প্রকাশ করা আমাদের (বিচারপতিদের) কর্তব্য।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর দেশের অধিকাংশ লোকই এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করার নৈতিক সাহস হারিয়ে ফেলেছিল। দেশবাসী কল্পনাও করতে পারেনি, যে বঙ্গবন্ধুকে এভাবে হত্যা করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সিনিয়র বিচারপতিরা ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করায় বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ সুগম হয়েছিল। একজন জেলা জজ রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নিম্ন আদালতে এই মামলার রায় দিয়েছিলেন। এরপর হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স নিষ্পত্তি করতে নানা প্রতিকূলতা ছিল। মামলাটি কার্যতালিকায় আনা ও বেঞ্চ গঠন নিয়ে নানা নাটকীয় ঘটনা ঘটে। এ ধরনের একটি ঘটনা নিয়ে বিচারকরা জাজেজ লাউঞ্জে কনফাইন্ড (বন্দি) ছিলেন। এরপর হাইকোর্ট ডেথ রেফারেন্স নিষ্পত্তি করে এবং মামলাটি আপিল বিভাগে আসে। এরপর আপিল বিভাগ মামলাটি চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করেন। আপিল বিভাগের ওই বেঞ্চের একজন বিচারক হিসেবে এই মামলায় অংশ নিতে পেরে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি।’

অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম, আপিল বিভাগের রেজিস্টার জাকির হোসেন, হাইকোর্টের রেজিস্টার সৈয়দ আবু দিলজার হোসেন, অতিরিক্ত রেজিস্টার (প্রশাসন ও বিচার) সাব্বির ফয়েজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এএম

Wordbridge School
Link copied!