• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

অপহৃত আ.লীগ নেতার রুদ্ধশ্বাস ৮ ঘণ্টা


রাজশাহী প্রতিনিধি ডিসেম্বর ৮, ২০১৬, ০২:৫১ পিএম
অপহৃত আ.লীগ নেতার রুদ্ধশ্বাস ৮ ঘণ্টা

রাজধানী: রাজশাহী নগরী থেকে মাইক্রোবাসে তুলে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের এক নেতাকে অপহরণ করার আট ঘণ্টা পর পবা উপজেলার দারুসা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (৭ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে চোখ বাঁধা অবস্থায় মাইক্রোবাস থেকে তাকে নামিয়ে দেয়া হয় বলে জানান কামরুল ইসলাম।

এর আগে বুধবার বেলা পৌনে ৩টার দিকে নগরীর শিরোইল কলোনী বড় মসজিদের পাশে নিজের দোকান থেকে কামরুল ইসলামকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুজ্জামান টিটো। কামরুল ইসলাম বোয়ালিয়া থানার ১৯ নম্বর ওয়ার্ড (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তার ওয়েল্ডিংয়ের ব্যবসা রয়েছে।

মহানগর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম সুমন বলেন, রাত ১১টার দিকে পবা উপজেলার পারিলা এলাকার মাঠের মধ্যে চোখ বাঁধা অবস্থায় মাইক্রোবাস থেকে কামরুল ইসলামকে নামিয়ে দেয়া হয়। সেখান থেকে তিনি বাড়ি চলে আসেন। তবে গাড়িতে তোলার পর তাকে ব্যাপক মারপিট করা হয়েছে। বাড়ি আসার পর তাকে র‌্যাব ও পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে জানান সুমন।

এর আগে বিকেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুজ্জামান টিটো বলেন, কামরুল ইসলাম তার দোকানে বসেছিলেন। চারজন যুবক তাদের দোকান থেকে ডেকে নিয়ে গল্প করতে করতে মাইক্রোবাসের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে তাকে জোর করে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে দ্রুত চলে যায়। ওই সময় কামরুলের দোকানে জসিম ও সোহেল নামের দুই কর্মচারী ছিল। জলপাই রঙের মাইক্রোবাসটি আগে থেকেই সেখানে রাখা ছিল। তবে মাইক্রোবাসটি রেলগেট না নওদাপাড়ার দিয়ে গেছে তা জানা যায়নি বলে জানান তিনি।

কামরুলের দোকানের কর্মচারী জসিম বলেন, চারজন যুবক তাদের দোকানে গিয়ে ভাই কথা আছে বলে কামরুল ইসলামকে বাহিরে ডেকে নিয়ে যায়। কথা বলতে বলতে তারা কামরুল ভাইকে মাইক্রোবাসের কাছে নিয়ে গিয়ে জোর করে তুলে নেয়। মাইক্রো ছেড়ে দেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যায়। তবে মাইক্রোবাসে কতজন ছিল তা বলতে পারেনি জসিম।

এদিকে, এ ঘটনার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সেখানে ছুটে যান পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ স্থানীয় লোকজন। পুলিশ দোকানের দুই কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার বিবরণ শুনেন।

বোয়ালিয়া থানার ওসি শাহাদাত হোসেন বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কারা এবং কেন কামরুল ইসলামকে মাক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে গেছে তা শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। পুলিশের কয়েকটি টিম ইতোমধ্যেই তদন্তে নেমেছে বলেও জানান ওসি।

কিছু দিতে হবে? কিছু দিবো? মাইক্রোবাসে তোলার আগ মুহূর্তে রাজশাহী মহানগরীর ১৯নং ওয়ার্ড (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম বলছিলেন বলে জানান তার দোকানের কর্মচারী জসিম।

তবে তার কোনো কথা শুনেননি অপহরণকারীরা। কিছু লাগবে না গাড়িতে উঠেন, এ বলেও ধাক্কা দিয়ে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়া হয় কামরুলকে। সাথে সাথেই মাইক্রোবাসে ওঠে যায় ওই চার যুবক। এর পর দ্রুত মাইক্রোবাসটি চলে যায়। এর পর রাত ১১টা পর্যন্ত কাররুলের কোনো সন্ধান করতে পারেনি পুলিশ।

বোয়ালিয়া থানার ওসি শাহাদত হোসেন খান বলেন, আইন-শৃংখলা বাহিনীর সকল বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাদের কারও কাছে কামরুল নেই। তবে কারা তাকে তুলে নিয়ে গেছে তা অনুসন্ধানে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান ওসি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!