• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

অপারেশন টেবিলেই যুবককে মেরে ফেলল ডাক্তার!


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি মার্চ ১৮, ২০১৮, ১০:২৮ পিএম
অপারেশন টেবিলেই যুবককে মেরে ফেলল ডাক্তার!

চিকিৎসা নিতে এসে এই ক্লিনিকেই লাশ হয় মঞ্জরুল ইসলাম

কুড়িগ্রাম: পায়ের অপারেশন করার সময় ডাক্তারের অবহেলায় অপারেশন থিয়েটারে মঞ্জরুল ইসলাম (১৯) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৭ মার্চ) রাতে কুড়িগ্রামের খাঁন ক্লিনিকের এই ঘটনা ঘটে।

মঞ্জুরুল ইসলাম সদর উপজেলার কাঠালবাড়ী ইউনিয়নের জোতগবরধন গ্রামের চাঁদ মিয়ার ছেলে। আর অভিযুক্ত ডাক্তার হলো- ডা. শহিদুল আলম রানা।

এঘটনায় রোগীর স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে ক্লিনিকের মালিক, কর্তব্যরত ডাক্তার ও কর্মচারীদের মারধধের ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খাঁন ক্লিনিকে ডা. শহিদুল আলম রানা শনিবার (১৭ মার্চ) রাত ১টার দিকে রোগীর অপারেশন করতে আসেন। রাত ২টার পর অ্যানেন্থেশিয়া সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম রোগী মঞ্জুরুল ইসলামকে অবশের ইনজেকশন পুশ করার পর ডা. শহিদুল আলম রানা রোগীর পায়ের ব্যান্ডেজ খুলে পায়ে প্লেট লাগানোর প্রস্তুতি নেন। কিন্তু রোগীর পা পুরোপুরি অবশ না হওয়ায় রোগী চিৎকার করতে করতে নিস্তেজ হয়ে মারা যায়।

এসময় রোগীর মৃত্যুর বিষয়টি ডাক্তার নিশ্চিত হতে পেরে স্বজনদের পার্শ্ববর্তী দোকান থেকে ওষুধ আনতে পাঠিয়ে ডাক্তার ও কর্মচারীরা পালানোর চেষ্টা করে। তাৎক্ষণিক ওষুধ নিয়ে ফিরে স্বজনরা অপারেশন থিয়েটারের দরজা বন্ধ দেখতে পেয়ে ওষধ দেয়ার জন্য ডাকাডাকি শুরু করে। কিন্তু ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেলে রোগীর স্বজনদের সন্দেহ হয় এবং এক পর্যায়ে দরজা ভেঙে ফেলে। এরপর ভেতরে ঢুকে মঞ্জুরুল ইসলামকে অপারেশন থিয়েটারে মৃত অবস্থায় দেখতে পায় এবং চিকিৎসকসহ কর্মচারীদের অপারেশন থিয়েটারের পেছনের জানালা দিয়ে পালিয়ে যেতে দেখে।

এসময় ক্ষিপ্ত স্বজনরা চিকিৎসক ও কর্মচারীদের ধরে পিটুনি দেয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এঘটনার পর খাঁন ক্লিনিকের চিকিৎসক ডা. শহিদুল আলম রানা, ডা. জাহাঙ্গীর আলম, ক্লিনিকের মালিক জুননুরাইন শামীম, ওটি বয় হাফিজসহ ক্লিনিকের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মোবাইল বন্ধ রেখে গা ঢাকা দেয়।

ডা. শহিদুল আলম রানা ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক। তিনি প্রতি শুক্রবার এবং শনিবার কুড়িগ্রামে এসে প্রাইভেট প্রাকটিস করেন।

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সদর থানার এসআই মো. মিন্টু মিয়া জানান, রোগী কখন মারা গেছে সেটা জানা নেই। তবে রাত আড়াইটার দিকে থানা থেকে সেখানে ফোর্সসহ আমাকে পাঠানো হয়। আমরা রোগী মঞ্জুরুল ইসলামকে মৃত দেখতে পাই এবং উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই।

এ বিষেয়ে কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. এসএম আমিনুল ইসলাম জানান, ঘটনার শোনার পরপরই আমি ক্লিনিকে যাই। কিন্তু সেখানে চিকিৎসক, নার্স কাউকে দেখতে পাই না। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি করে রোগীর মৃত্যুর আসল কারণ বের করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!