অপেশাদার পথে হাটছে বাফুফে!

ঢাকা: এ যেন উল্টো নিয়ম। সবাই জানে, চাকরি আগে থাকে অস্থায়ী। পরে সেটা স্থায়ী হয়। কিন্তু দেশীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) ঘটেছে উল্টো কাহিনী। এখানে আগে যেখানে চাকরি ছিল স্থায়ী, এখন সেখানে চাকরি হয়ে গেছে অস্থায়ী! বেতন বাড়বে না, থাকবে না উৎসব ভাতা। এমন সিদ্ধান্তে ইতোমধ্যে একাধিক স্টাফ চাকরি ছেড়ে দেয়ার নোটিশ দিয়েছেন। বাকিরাও আছেন সংশয়ের দোলাচলে।

তবে কাজে গতি আনতে আর পেশাদারিত্ব বাড়াতেই এমন উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন বাফুফে। পেশাদারিত্বের পথে হাঁটতে গিয়ে ব্রিটিশ টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলিকে নিয়োগ দিয়েছে ফেডারেশন। মূলত তার বুদ্ধিতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাফুফে। এ প্রেক্ষিতে অনেকেই বলছেন অপেশাদার পথে হাটছে বাফুফে!

স্মলির পরামর্শ বাস্তবায়ন করায় স্থায়ী থেকে হঠাৎ অস্থায়ী হয়ে গেছেন ফেডারেশনের ১৩ কর্মকর্তা। অস্থিতিশীল এই পরিস্থিতিতে ইস্তফার নোটিশ দিয়েছেন চারজন। বাকিরাও খুঁজছেন বিকল্প চাকরি। বেতন বাকি পড়েছিল আগেই। সেই সঙ্গে বাড়ছিল দেনার ভার। তাই খরচ কমাতে আর কর্মচারী সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাফুফে। এ নিয়ে গত কয়েকমাস ধরেই আলোচনা চলছিল।

চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ কার্যক্রমের নতুন পদ্ধতি কার্যকর হয়েছে বুধবার থেকে। ই-মেইলে নতুন এই পদ্ধতি জানিয়ে দেয়া হয়েছে সবাইকে। সেখানে থাকছে না উৎসব ভাতা। বেতন বাড়বে কি না, তারও ব্যাখ্যা নেই। বরং চাকরি চলে যেতে পারে চার সপ্তাহের নোটিশে। প্রতি তিন মাস পর পর কাজের অবস্থা যাচাই করে পরবর্তী চুক্তি হবে। তবে সুযোগ-সুবিধার বৈষম্য সম্পর্কে নীরবই আছে বাফুফে। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ভার যেসব কর্মকর্তাদের ওপর, তাদের আগ্রহ নষ্ট করে, চরম চাপে-অনিশ্চয়তায় ফেলে কতটা সফল হবে বাফুফে?

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই