• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অবসরপ্রাপ্ত সৈন্যদের স্বাধীনতার শপথ


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ২২, ২০১৭, ০৯:৪৭ এএম
অবসরপ্রাপ্ত সৈন্যদের স্বাধীনতার শপথ

ঢাকা : বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রশ্নে নানা মহলের মধ্যে ঐক্য, সংহতি আর সংগ্রামের প্রস্তুতি শুরু হয়। বঙ্গবন্ধুর সাথে ইয়াহিয়ার বৈঠক ছিল কালক্ষেপণের এক প্রচেষ্টা। এটা দেশের মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে যায়। এতে বিক্ষুব্ধ মানুষ আরো বেশি বিক্ষোভে-সংগ্রামে-প্রতিবাদে ফেটে পড়ে।

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনে সমবেত হন সাবেক সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর অবসর নেয়া কর্মকর্তা ও সৈন্যরা। তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রশ্নে ঐকমত্য প্রকাশ করেন। এখানে তারা স্বাধীনতার শপথ নেন। আর এই শপথ অনুষ্ঠানের পুরোধা ছিলেন কর্নেল এম এ জি ওসমানী। স্বাধীনতা আন্দোলনের এই সিংহ পুরুষের আলোকিত শপথের পথ ধরেই স্বাধীনতার সংগ্রামের পথে আমরা আরো এক ধাপ এগিয়ে যাই।

দেশের সংবাদপত্রগুলো এদিন এক ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে। ‘বাংলার স্বাধীকার’ শিরোনামে এই ক্রোড়পত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শুভেচ্ছা বাণী প্রকাশিত হয়। এতে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সাত কোটি মানুষের সার্বিক মুক্তির জন্য আমাদের এই সংগ্রাম। অধিকার বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই সংগ্রাম চলবে। বুলেট বেয়নেট দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে আর স্তব্ধ করা যাবে না। কেননা জনতা আজ ঐক্যবদ্ধ।’

প্রেসিডেন্ট ভবনে বঙ্গবন্ধু ও পিপিপি নেতা ভুট্টোর সাথে ইয়াহিয়ার এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠক চলে এক ঘণ্টা ১৫ মিনিট। বৈঠক শেষে শেখ মুজিব তার বাসভবনের সামনে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আলোচনার যদি অগ্রগতি না হতো তাহলে কেন আলাপ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি?’।

প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া জাতীয় পরিষদের বৈঠক অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেন। এ বিষয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় শেখ মুজিব বলেন, ‘আমি তো আগেই বলেছি আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা জাতীয় পরিষদে যোগ দিতে পারি না।’

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!