• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অবস্থান হাড্ডাহাড্ডি, এগিয়ে হিলারি!


আন্তর্জাতিক ডেস্ক নভেম্বর ১, ২০১৬, ০৭:২৫ পিএম
অবস্থান হাড্ডাহাড্ডি, এগিয়ে হিলারি!

ঢাকা: পুরো বিশ্বকে জানান দিয়েই ঘটে যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। গণতান্ত্রিক কাঠামোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন হিসেবে ভাবা হয় এটাকে। তাছাড়া এক মেরু বিশ্বে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার প্রভাব পড়ে অন্যান্য দেশেও। সে কারণেই এ নির্বাচন নিয়ে মিডিয়া মেতে থাকে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়ে সর্বশেষ জারিপে এগিয়ে আছেন ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। যদিও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এই ব্যবধান উল্লেখযোগ্য হারে কমে এসেছে। সে কারণেই বলা হচ্ছে, দুজনের অবস্থা বেশ হাড্ডাহাড্ডি।

সাম্প্রতিক এবিসি নিউজ/ওয়াশিংটন পোস্টের জরিপে দেখা গেছে, ট্রাম্পের চেয়ে মাত্র এক পয়েন্টে এগিয়ে আছেন হিলারি। জরিপে হিলারির পক্ষে রায় দিয়েছেন ৪৬ শতাংশ মানুষ। আর ট্রাম্পের পক্ষে রায় দিয়েছেন ৪৫ শতাংশ মানুষ। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার মাত্র ৯ দিন আগে জরিপটি প্রকাশ করা হলো।

গত ২৫ থেকে ২৮ অক্টোবর ভোটারদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে চালানো জরিপে দেখা গেছে, অন্য দুই প্রার্থী অর্থাৎ লিবারটারিয়ান গ্যারি জনসনের পক্ষে সমর্থন রয়েছে ৪ শতাংশের এবং গ্রিন পার্টির জিল স্টেইনের পক্ষে সমর্থন রয়েছে ২ শতাংশ মানুষের।

সম্প্রতি ইমেইল ইস্যুতে হিলারির বিরুদ্ধে নতুন করে তদন্ত শুরুর ঘোষণা দেয় মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই। আর এ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ডেমোক্র্যাট শিবিরের রোষানলে রয়েছে তদন্ত সংস্থাটি।

ডেমোক্র্যাটরা দাবি করে আসছে, এফবিআই নির্বাচনকে প্রভাবিত করছে। তবে জরিপে দেখা গেছে, অধিকাংশ মার্কিনি এফবিআইর তদন্ত ইস্যুটিকে কেন্দ্র করে তাদের সিদ্ধান্ত পাল্টাতে রাজি নন। প্রতি ১০ জন ভোটারের মধ্যে ৬ জনই বলেছেন তাদের ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে ইমেইল ইস্যুটি কোনো পরিবর্তন ঘটাবে না। প্রতি ১০ জনে তিনজনের বেশি মার্কিনি জানিয়েছেন, তারা হিলারিকে সমর্থন দেবেন না বলে মনে করছেন। আর ২ শতাংশ মানুষ বলেছেন, এ ঘটনার পর তারা হিলারিকে ভোট দেয়ার কথা আরো বেশি করে ভাবছেন।

উল্লেখ্য, মার্কিন নির্বাচনের মাত্র দুই সপ্তাহ বাকি থাকতেই ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে এফবিআইর নতুন করে তদন্ত শুরু করার খবরটি সামনে আসে। হিলারি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে ২০০৯-২০১৩ সাল পর্যন্ত ব্যক্তিগত সার্ভার থেকে ইমেইল আদান-প্রদান করেছিলেন। দীর্ঘ সময় ধরে আদান-প্রদান করা ইমেইলগুলোতে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয়েরও উল্লেখ ছিল। যুক্তরাষ্ট্রে সরকারের নিয়ন্ত্রিত চ্যানেল ছাড়া ক্লাসিফায়েড তথ্য আদান-প্রদানের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ ধরনের অনিরাপদ চ্যানেলের মাধ্যমে অতি গোপনীয় ইমেইল ফাঁস হওয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে মনে করে মার্কিন সরকার। তবে ব্যক্তিগত সার্ভার ব্যবহারের কথা স্বীকার করলেও হিলারির দাবি, তিনি ভুল কিছু করেননি। 

আগামী ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এ নির্বাচনে ২০০ মিলিয়ন রেজিস্টার্ড ভোটার রয়েছেন। এরই মধ্যে কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে আগাম ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আগাম ভোট দিয়েছেন ২০ মিলিয়ন ভোটার।

সোনালীনিউজ/এমএন

Wordbridge School
Link copied!