• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

অবাধ, সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য


কূটনৈতিক প্রতিবেদক মার্চ ১, ২০১৮, ১১:৫৯ এএম
অবাধ, সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য

ঢাকা: বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। দেশ দুটির রাষ্ট্রদূত গতকাল ঢাকায় পৃথক অনুষ্ঠানে তাদের দেশের এমন অবস্থানের কথা জানান।

রাজধানীর ধানমন্ডির ইএমকে সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বলেন, বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে আমরা এখানে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চাই। এ নির্বাচন ঘিরে কোনো সহিংসতা আমরা দেখতে চাই না।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তার দেশ এখানে কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দল বা সরকারের প্রতি দুর্বল নয়। এ দেশের মানুষই ঠিক করবে এখানে কারা দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আসবেন।

সম্প্রতি মার্কিন সরকার আইএসআই সমর্থিত সাত দেশের সংগঠন নিষিদ্ধ করেছে। যার মধ্যে বাংলাদেশের নাম রয়েছে- এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশে আইএসআই আছে আমরা তা বলছি না। তবে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠনটির সঙ্গে বাংলাদেশের কিছু লোক বিভিন্নভাবে জড়িত আছে বলে আমরা বলছি।

এদিকে গতকাল দুপুরে রাজধানীর ব্রিটিশ ক্লাবে আমন্ত্রিত কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজের আগে ঢাকার ব্রিটিশ (যুক্তরাজ্য) হাইকমিশনার এলিসন ব্লেইক বলেন, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন সাম্প্রতিক সফরে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়- এমন বার্তাই দিয়ে গেছেন।

বরিস জনসনের ঢাকা সফর নিয়ে তিনি বলেন, তিনি মূলত দুটি কারণে বাংলাদেশ সফর করেন। যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার পথে আমরা বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার অংশীদার হতে চাই।

এলিসন ব্লেইক বলেন, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়ে গেছেন। যুক্তরাজ্য খুব শক্তভাবেই বিশ্বাস করে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বড় একটি বিষয়। আর এটাই একটি দেশের সম্ভাব্য সেরা উপায়। যার মধ্যে দেশের ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হয়। সেই সঙ্গে এমন একটি সমাজ তৈরি করে যেখানে সবাই নিজেকে অংশীদার মনে করবে। একই সঙ্গে সবার কথা বলার অধিকার থাকবে। যার মাধ্যমে সমাজ শক্তিশালী ও জবাবদিহিমূলক হয়ে ওঠে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!