• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অবৈধ ইটভাটা নির্মাণ, প্রশাসনের হস্তক্ষেপে কাজ স্থগিত


ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি জুলাই ২০, ২০১৭, ০২:২৮ পিএম
অবৈধ ইটভাটা নির্মাণ, প্রশাসনের হস্তক্ষেপে কাজ স্থগিত

দিনাজপুর: জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউপির চককবির গ্রাম সংলগ্ন তিনফসলি আবাদী জমিতে অবৈধভাবে ইটভাটা নির্মাণের অভিযোগে এলাকাবাসী প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠেছে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ইটাভাটা প্রাথমিক অবস্থায় স্থগিত করা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্র এবং সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা গেছে, চককবির মৌজার জনৈক সাইফুল ইসলাম ও হাইকুল ইসলামের ৮৪১ ও ৮৪২ দাগে মোট ৩ একর জমিতে বাৎসরিক চুক্তিতে ইটভাটা নির্মাণ কাজের প্রস্তুতি শুরু করছেন পার্শ্ববর্তী পার্বতীপুর উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের রমপুর গ্রামে মো. লোকমান আলী। পক্ষান্তেরে এলাকার তিনটি গ্রামের বাসিন্দারা ইটভাটা নির্মাণ বন্ধের দাবিতে গণস্বাক্ষরসহ জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে গণস্বাক্ষর সম্মিলিত গ্রামবাসীর পক্ষে অভিযোগ দাখিল করেছেন চককবির মীরপাড়া গ্রামের সৈয়দ সুলতান আহম্মেদ।

উক্ত নির্মাণাধীন ভাটা থেকে থেকে ৫০ গজ দুরেই দুটি গ্রামে এবং গ্রামগুলোতে রয়েছে পৃথক পৃথক দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। নির্মাণাধীন ভাটাটি সংলগ্ন ৩টি (গুচ্ছ গ্রাম, আশ্রয়ান চককবির মীরপাড়া) গ্রামে প্রায় ৫ হাজার অধিক লোকের বসবাস।

চককবির মীর পাড়া গ্রামের কৃষক আ. রাজ্জাক (৪৭) ও গৃহিণী মোর্শেদা বেগমসহ অনেকেই বলেন, এখানে ভাটা নির্মাণ হলে এলাকার অনেক জমির ক্ষতি হবে। একই সাথে গ্রামের গাছ-পালা, পরিবেশ দূষণ হবে। তাই আমরা ইটভাটা নির্মাণ চাই না।

এদিকে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এহেতেশাম রেজা গত ১৭ জুলাই নির্মাণাধীন ইটভাটা এলাকা পরিদর্শন করেন। একইভাবে ফুলবাড়ী সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসিম আহম্মেদ ইটভাটা এলাকা পরিদর্শন করেন।

চককবির গ্রামের সৈয়দ সুলতান আহম্মেদ বলেন, এখানে ইটভাটা নির্মাণ করা হলে গ্রামবাসীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিসহ পরিবেশগত নানা ঝুঁকিতে পড়বেন। পার্শ্ববর্তী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুরাও নানাবিধ ঝুকিঁর মধ্যে পড়বে।

এদিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসিম আহম্মেদ জানান, অভিযোগে প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনপূর্বক উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হয়েছে।

ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এহেতেশাম রেজার সাথে কথা বললে তিনি জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে ১৭ জুলাই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিক তদন্ত করে ভাটা নির্মাণের ছাড়পত্র (অনুমোদন) না পাওয়া পর্যন্ত ভাটা নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। একইসাথে এলাকাবাসী অভিযোগের বিষয় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট অবগত করা হয়েছে।

অপরদিকে তিন ফসলী জমিতে ইটভাটা এবং জমির উপরিভাগ (টপসয়েল) কাটা সরকারিভাবে নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও লোকালয়ে এবং তিন ফসলি জমিতে ইটভাটা নির্মাণ করার চেষ্টা করছেন এমন প্রশ্নে উত্তরে ইটভাটার মালিক মো. লোকমান আলীর সাথে মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি জানান, আমি ওই জমি বাৎসরিক চুক্তি নিয়ে ভাটা নির্মাণের প্রক্রিয়া চালাচ্ছি। একইসাথে অনুমোদনের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করে সরকারি যাবতীয় ফি জমা প্রদান করেছি। একইভাবে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতির জন্যও আবেদন করেছি। আমি অনুমতি পেলেই সেখানে ভাটা নির্মাণ করব।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!