• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অবৈধ ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে কাঠ, উজাড় হচ্ছে বনজ সম্পদ


ঝালকাঠি প্রতিনিধি জানুয়ারি ৮, ২০১৮, ০৬:৪৮ পিএম
অবৈধ ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে কাঠ, উজাড় হচ্ছে বনজ সম্পদ

ঝালকাঠি : জেলায় ফসলি এবং আবাদি জমিতে ইটভাটা বানিয়ে পরিবেশের বিনষ্ট করা হলেও তা দেখার কেউ নেই। গাছ কেটে ধ্বংস করা হচ্ছে বনজ সম্পদ। বিপর্যয়ের মুখে পরিবেশ। কিছু নতুন ও পুরাতন ভাটায় প্রকাশ্যে অবৈধভাবে ইট পোড়ানো হচ্ছে। পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে তোলা ইটের পাজায়ও কাঠ পোড়ানো হচ্ছে দেধারছে।

যদিও পরিবেশ অধিদপ্তর ফিট চুংগার ভাটাগুলোকে অবৈধ ঘোষণা করে ইতিমধ্যেই মালিক পক্ষকে বন্ধ করার নোটিশ দিয়েছে বলে জানা যায়। এসব ভাটা ও পাজার কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ দূষিত হবার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী গাছপালা বিনষ্ট হচ্ছে।

সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ইটবাটার জ্যিকজ্যাক চুংগা ব্যবহার করার নির্দেশনা থাকলেও অধিকাংশ বাটা মালিকরা তা মানছে না। হাতে গোনা কয়েকটি বাটায় কয়লা পোড়ালেও অপর মালিকরা কিছু কয়লার নমুনা রেখে কাঠ দিয়ে ইট পোড়াচ্ছে।

এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর নিরব থাকায় মালিকরা কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই ফিট চুংগা আইন করে বাতিল করা হলেও ঝালকাঠিতে আইনের তোয়াক্কা না করেই অবৈধ ইটভাটা মালিকরা তা ব্যবহার করছে।

জেলায় প্রায় ৩০টি ভাটা ও প্রায় ১ হাজার পাজা রয়েছে। এর মধ্যে ১০টি জ্যিকজ্যাক ভাটার তথ্য পাওয়া গেলেও প্রকৃত পক্ষে জেলায় মোট ভাটা ও পাজার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান কোথাও পাওয়া যায়নি।

সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কৃষ্ণকাঠি এলাকার এ করিম ব্রিকস্ ইটভাটায় একদিকে শ্রমিক দিয়ে গাছ কাটা হচ্ছে অন্যদিকে কাটা গাছের লাকরি ভাটায় পোড়ানোর জন্য জমা করা হচ্ছে। এই ভাটায় কোনো কয়লা পাওয়া যায়নি।

করিম ব্রিকস্ ইট বাটার ম্যানেজার পরিচয় দেয়া আমিনুল হক জানান, ৩০% ইট পোড়ানোর সরকারি নির্দেশনা আছে। আমাদের কয়লা এখন পর্যন্ত এসে পৌঁছায়নি। তাহলে এই মুহূর্তে আপনি ১০০% কাঠ দিয়ে ইট পোড়াচ্ছেন কিভাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কয়লা এসে পরবে। যে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে তা ব্যবহার করা হয় না বলেই এখানে পোড়ানো হচ্ছে।

এ বিষয়ে এ করিম ব্রিকস্ ইট বাটার মালিক মোস্তফা কামাল সোহাগ মোবাইল ফোনে জানান, কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানোর বিষয়টি জেলা প্রশাসন অবগত আছে।

এ প্রসঙ্গে বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের ঝালকাঠির দায়িত্ব প্রাপ্ত পরিদর্শক আঞ্জুমান্নেসা বলেন, যেসব বাটায় জ্যিকজ্যাক চুংগা নেই সেইসব বাটা মালিককে ইতি মধ্যেই নোটিশ দিয়ে তাদের বাটা বন্ধ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কোনোক্রমেই তারা এই চুংগা দিয়ে ইট পোড়াতে পারবে না। পাশাপাশি এক টুকরো কাঠও কোনো ভাটা বা পাজায় পোড়ানোর বৈধতা নেই। কিন্তু ইতিমধ্যেই কয়লা ছাড়াই কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো শুরু হলেও ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছে না কেন জানতে চাইলে এই পরিদর্শক বলেন, এই নির্দেশনা না মানলে আমরা মোবাইল কোর্টে মাধ্যমে ব্যবস্থা নেব।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!