• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অভিজ্ঞতা অর্জনের লক্ষ্যেই জাপান যাচ্ছে সানজিদা-কৃঞ্চারা


ক্রীড়া প্রতিবেদক জানুয়ারি ২৩, ২০১৭, ০৭:৩৬ পিএম
অভিজ্ঞতা অর্জনের লক্ষ্যেই জাপান যাচ্ছে সানজিদা-কৃঞ্চারা

ঢাকা: গত বছর দুর্দান্ত সময় পার করেছে বাংলাদেশের বয়স ভিত্তিক নারী ফুটবল দলগুলো। তারমধ্যে অন্যতম হলো ঘরের মাঠে ‘এএফসি অনুর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপ’-এর বাছাইপর্বে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে মূলপর্বে সুযোগ পাওয়া। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে থাইল্যান্ডে বসবে মূলপর্বের আসর। এই পর্বে সেরা তিন দলের মধ্যে থাকতে পারলে ২০১৮ সালে  উরুগুয়েতে অনুষ্ঠিতব্য ফিফা অনুর্ধ্ব-১৭ মহিলা বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলতে পারবে বাংলাদেশের মেয়েরা। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই পুরো দমে প্রস্তুতি শুরু করেছে গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। তারই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) জাপান সফরে যাচ্ছে সানজিদা-কৃষ্ণারা।

জাপান ফুটবল এ্যাসোসিয়েশনের (জেএফএ) ব্যবস্থাপনায় ২৮ থেকে ২৯ জানুয়ারি জাপানের ওসাকায় অনুষ্ঠিত হবে ‘জে-গ্রিন সাকাই লেডিস ফেস্টিভাল অনুর্ধ্ব-১৫’ ফুটবল আসর। এই টুর্নামেন্টে ৪ গ্রুপে মোট ২০ দল অংশ নেবে। যার ১৮টিই জাপানের। বাংলাদেশসহ আরেকটি দল হল থাইল্যান্ড। টুর্নামেন্টটি অনুর্ধ্ব-১৫ বছর বয়সীদের হলেও বাংলাদেশের দলটি অনুর্ধ্ব-১৬ দল। মূলত জেএফএর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণেই বাংলাদেশ দলকে এই বিশেষ ছাড় দেয়া হয়েছে।

এ উপলক্ষ্যে সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বাফুফে ভবনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের উইমেন্স ফুটবল উইং এর চেয়ারম্যান মিস মাহফুজা আক্তার কিরণ, পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন গ্রুপের স্পোর্টস এন্ড ওয়েলফেয়ার বিভাগের প্রধান এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন), বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ, বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ মহিলা দলের কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন, অধিনায়ক কৃষ্ণা রানী সরকার ও সহ-অধিনায়ক মারিয়া মান্ডা। ফুটবলে জাপান বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে। তাই সেখানে গিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জনই বাংলাদেশ দলের প্রধান লক্ষ্য।

সংবাদ সম্মেলনে মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ‘বাংলাদেশ মহিলা ফুটবল টিম আজকে একটা অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। সে কারণে তাদের উপর আমাদের প্রত্যাশা অনেক বেড়ে গেছে। এতোদিন বাংলাদেশ মহিলা টিম যে দেশগুলোর সঙ্গে খেলেছে, যে টিমগুলোর সঙ্গে খেলেছে এবং জাপানে যাদের সঙ্গে খেলতে যাচ্ছে সেটা কিন্তু অনেক বেশি ভিন্ন। আমরা এখানে যাচ্ছি মূলত নিজেদের ঝালাই করার জন্য। আমাদের অবস্থান কোথায় সেটা জানার জন্য। জাপান অনেক বেশি শক্তিশালী দল এবং এশিয়ার শীর্ষ দলের একটি। তাদের সঙ্গে খেলার পর বাংলাদেশ দল বুঝতে পারবে তাদের অবস্থানটা কোথায়।’

কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন বলেন, ‘আমাদের সভাপতি আগেই বলেছিলেন যে থাইল্যান্ডে আমরা যে সব দলের বিপক্ষে খেলব তাদের বিপক্ষে টুর্নামেন্টের আগেই প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দেবেন। যাতে আমরা আমাদের অবস্থানটা জানতে পারি এবং সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে পারি। সেটার প্রাথমিক ধাপে খেলতে আগামীকাল আমরা যাচ্ছি। আপনারা জানেন জাপান ফুটবল বিশ্বে খুবই শক্তিশালী দল। ২০১১ বিশ্বকাপে তারা আমেরিকাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। আর সবশেষ বিশ্বকাপে আমেরিকার কাছে হেরে রানার্স-আপ হয়েছে। এই প্রথম আমাদের কোনো দল জাপান যাচ্ছে। এই ফেস্টিভালে ৮টি ম্যাচ খেলে তাদের যে অভিজ্ঞতা হবে, ২০টি দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে ভাব বিনিময় হবে সেটা বিরাট কিছু। এটা আমাদের মেয়েদের জন্য নতুন একটা সুযোগ। এখান থেকে তারা বিশাল একটা অভিজ্ঞতা নিয়ে আসতে পারবে। পরবর্তীতে সেটা আমাদের কাজে লাগবে।’

অধিনায়ক কৃষ্ণা রানী সরকার বলেন, ‘জাপান আমাদের চেয়ে অনেক শক্তিশালী দল। বিশ্ব ফুটবলেও তারা অনেক শক্তিশালী একটি দল। বাংলাদেশের প্রথম কোনো দল জাপানের সঙ্গে খেলতে যাচ্ছে। এখানে আমাদের শেখার অনেক কিছু রয়েছে। আমরা ওদের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ খেলে শিখব। আর ফেস্টিভালে আমাদের শতভাগ দিয়ে খেলব। যাতে আমরা ভালো করতে পারি ও ভুলগুলো শুধরে নিতে পারি।’

২৫ জানুয়ারি জাপানে পৌঁছানোর পর ২৬ জানুয়ারি একাডেমি সাকাই এর বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ দল। এরপর ফেস্টিভালে ‘ডি’ গ্রুপে ২৮ জানুয়ারি সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে এসি ইমাবারি, সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে সেরেজো ও দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে এনগু নাগোয়া এফসি লেডিস এর বিপক্ষে খেলবে। এরপর ২৯ জানুয়ারি আমাগাসাকি লেডিস টিমের বিপক্ষে সকাল ৯টা ৫৫মিনিটে খেলবে। এরপর নকআউট পর্বের ম্যাচে খেলবে বাংলাদেশের মেয়েরা। প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে শুরু করে মোট ৮টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!