• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

অভিবাসী অধিকার রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ


কূটনৈতিক প্রতিবেদক  সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৬, ০৯:৩৫ এএম
অভিবাসী অধিকার রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ

উদ্বাস্তু ও শরণার্থী  সমস্যার স্থায়ী সমাধানে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল জাতিসংঘের শরণার্থী ও অভিবাসন বিষয়ক উচ্চপর্যায়ের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের পর সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যৌথ সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অভিবাসন এবং টেকসই উন্নয়নবিষয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকেও একই আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের বণিক সমিতির একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। আজ (মঙ্গলবার) জাতিসংঘের ৭২তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। আগামীকাল বুধবার জাতিসংঘে বাংলায় বক্তৃতা করবেন তিনি।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, জাতিসংঘের শরণার্থী ও অভিবাসনবিষয়ক উচ্চপর্যায়ের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈশ্বিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ভূমিকা পালনের জন্য  বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান এবং অভিবাসন ও উন্নয়নবিষয়ে বাংলাদেশের অগ্রাধিকার বিষয়গুলো তুলে ধরেন। তিনি  শরণার্থী ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবহিত করেন। এরপর সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী মি. স্টেফান লফভেনের সঙ্গে যৌথ সভাপতিত্বে  অভিবাসন ও টেকসই উন্নয়নবিষয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সুষ্ঠু, নিরাপদ ও নিয়মিত অভিবাসন নিশ্চিতকরণে তাঁর সরকারের দৃঢ় প্রত্যয় ও অঙ্গীকারের কথা বিশ্ববাসীকে জানান।

এর আগে সাফল্যের সঙ্গে কানাডা সফর শেষে পাঁচ দিনের সরকারি সফরে গত রবিবার নিউইয়র্ক আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিউইয়র্কের লাগুড়িয়া বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন। এ সময় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন। বিমানবন্দরের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। বিমানবন্দর থেকে মোটর শোভাযাত্রায় প্রধানমন্ত্রীকে ম্যানহাটনের ওলাল্ডরফ এস্টোরিয়া হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। নিউইয়র্কে অবস্থানকালে এই হোটেলেই থাকবেন শেখ হাসিনা।

সূত্র আরো জানিয়েছে, গতকাল জাতিসংঘের শরণার্থী ও অভিবাসনবিষয়ক উচ্চপর্যায়ের প্ল্যানারি সেশন এবং অভিবাসন ও টেকসই উন্নয়নবিষয়ে গোলটেবিল বৈঠক শেষে যুক্তরাষ্ট্রের বণিক সমিতির একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। প্রতিনিধিদলের সঙ্গে তিনি বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ পরিস্থিতি এবং সম্ভাবনা বিষয়ে মতবিনিময় করেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলও যোগ দেয়।

প্রধানমন্ত্রী আজ (মঙ্গলবার) জাতিসংঘের সাধারণ বিতর্ক পর্বের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। একই দিন শেখ হাসিনা মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমন্ত্রণে শরণার্থীবিষয়ক (Leaders’ Summit on Refugees) এক বৈঠকে যোগ দেবেন। এতে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে থাকা মিয়ানমারের শরণার্থী ও অনিবন্ধিত নাগরিকসংক্রান্ত সমস্যার স্থায়ী, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য সমাধানের বিষয়টিও তুলে ধরবেন। শরণার্থীবিষয়ক বৈঠক শেষে শেখ হাসিনা জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের আমন্ত্রণে সন্ত্রাস ও চরমপন্থা নির্মূলবিষয়ে (Leaders’ Meeting to Tackle Terrorism and Violent Extremism in Southeast Asia and South Asia) আরেকটি বৈঠকে যোগ দেবেন। এ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস ও সহিংস জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ভিত্তিক আপোসহীন নীতির কথা পুনর্ব্যক্ত করবেন। একই দিন প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত উদ্ভাবনী উন্নয়ন সংক্রান্ত (South-South and Triangular Cooperation in Scaling up Innovation in Public Service Delivery)  একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এতে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন দেশের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের যোগ দেয়ার কথা রয়েছে। আগামীকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাধারণ বিতর্ক বা General Debate অধিবেশনে বাংলাদেশের পক্ষে বালাভাষায় বক্তব্য রাখবেন। একই দিনে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্যোগে পানিবিষয়ক উচ্চপর্যায়ের এক বিশেষ বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন। এদিন প্রধানমন্ত্রী সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী স্টেফান লফভেনের উদ্যোগে আয়োজিত Global Deal-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ

Wordbridge School
Link copied!