• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অর্থপাচার রোধে এনবিআরের নতুন নির্দেশনা আসছে


বিশেষ প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৮, ০৩:২৭ পিএম
অর্থপাচার রোধে এনবিআরের নতুন নির্দেশনা আসছে

ঢাকা : আমদানি-রপ্তানিতে অর্থপাচার রোধে নতুন উদ্যমে মাঠে নামছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন নির্দেশনা সামনে রেখে কাজ শুর করবে প্রতিষ্ঠানটি। এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।  

আমদানি-রফতানি খাতকে আরো বেশি স্বচ্ছ এবং অনিয়ম দূর করতে এ উদ্যোগ নিয়েছে তারা । তাদের উদ্যোগের বেশ কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো।

যে সব প্রতিষ্ঠান বছরে দুইবারের বেশি আমদানি-রপ্তানি করেছে এসব  প্রতিষ্ঠানের মালিকদের ব্যাংক লেনদেনের তথ্যের সঙ্গে আয়কর রিটার্নের তথ্য মিলিয়ে দেখা হবে। প্রতি ছয় মাস পর পর এ তথ্য হালনাগাদ করা হবে।

এ ক্ষেত্রে তথ্যে গরমিল পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ব্যবসায়িক সব হিসাব জব্দ করে আরো বিস্তারিত তদন্তের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অবশ্যই ফৌজদারি মামলা করা হবে।

কোনো প্রতিষ্ঠান যদি  ছয় মাসের মধ্যে ন্যূনতম তিনটি চালানে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করে  এবং প্রতিটি চালানের পরিমাণ ৫০ লাখ টাকার বেশি হলে অবশ্যই প্রতিষ্ঠানের একজন প্রতিনিধি সংশ্লিষ্ট বন্দরে উপস্থিত হয়ে পণ্য ছাড় করাতে হবে।  

একই পরিমাণ মূল্যের পণ্য ছাড়করণে শুল্ক কর্তৃপক্ষের বিশেষ টাস্কফোর্স সরেজমিনে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের কারখানা বা মূল দপ্তর সরেজমিনে পরিদর্শন করে সত্যতা নিশ্চিত করলে শুল্ক কর্তৃপক্ষ ওই আমদানীকৃত পণ্য ছাড়করণে অনুমতি দেবে।

কোনো পণ্য যদি ছয় মাস বা তার মেশি সময়  বন্দরে পরে থাকে কেন ছাড়করণে বিলম্ব হয়েছে তার যথাযথ ব্যাখ্যাসহ পণ্য ছাড়করণের আবেদন করতে হবে।

বন্দর পড়ে থাকা এসব পণ্য চালানের সঙ্গে সংযুক্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখে নিশ্চিত হবে সঠিক হিসাবে পণ্য আমদানি করা হয়েছে। তবেই শুল্ক কর্তৃপক্ষ পণ্য ছাড়করণের অনুমতি দেবে।

কোন  প্রতিষ্ঠান যদি বিদেশ থেকে  কোন বিশেষজ্ঞ আমন্ত্রণ করেন তাহলে সে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমন্ত্রিত বিদেশি বিশেষজ্ঞের অবশ্যই একটি লিখিত চুক্তি হতে হবে। কত মূল্যে, কোন দেশ থেকে, কী কাজে আনা হচ্ছে তা স্পষ্টভাবে চুক্তিতে উল্লেখ থাকতে হবে।

প্রয়োজনে এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান চুক্তির সত্যতা যাচাই করবে। বাজারমূল্যের চেয়ে বাড়িয়ে বিশেষজ্ঞ ফি প্রদান করা যাবে না। দেশি বিশেষজ্ঞের ক্ষেত্রেও একই শর্ত আরোপ হবে।

অন্যদিকে মূলধনী যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রে  বন্দরে আমদানির পর তা ছাড় করিয়ে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের কারখানায় স্থাপনের ন্যূনতম তিন মাস পর একই প্রতিষ্ঠান আবারও মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির অনুমতি পাবে। তবে তৈরি পোশাক শিল্পের কারখানার ক্ষেত্রে এসব শর্ত প্রযোজ্য হবে না।

অভিযুক্ত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ব্যাংকের লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তায়  এলসির তথ্য সংগ্রহ করে অর্থপাচারসংক্রান্ত তদন্ত করবে প্রতিষ্ঠানটি।

সোনালীনিউজ/জেডআরসি

Wordbridge School
Link copied!