• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

অর্থবিল ২০১৬ সংসদে পাস


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ৩০, ২০১৬, ১১:২৯ এএম
অর্থবিল ২০১৬ সংসদে পাস

রপ্তানি খাতের উৎসে কর হ্রাস, মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক সুবিধার প্রসার, পোল্ট্রি খাতের পণ্যে রেয়াত সুবিধা, জীবন রক্ষাকারী ওষুধে শুল্ক প্রত্যাহারসহ বেশ কিছু সুবিধা দিয়ে অর্থবিল-২০১৬ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে।

দশম জাতীয় সংসদের একাদশ অধিবেশনে বুধবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের প্রস্তাবে কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়।

পাস হওয়া আইনে রপ্তানি খাতের উৎস কর হ্রাস, মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক সুবিধার প্রসার, পোল্ট্রি খাতের পণ্যে রেয়াত সুবিধা, জীবন রক্ষাকারী ওষুধে শুল্ক প্রত্যাহারসহ বেশ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে অর্থবিলে ভোজ্যতেল, চিনি, ডাল ও রসুন ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিদ্যমান শুল্ক অব্যাহতির রেয়াত আগামী বছরও কার্যকর রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তার বাজেটের ওপর সমাপনী বক্তৃতায় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েকটি প্রস্তাব করেছেন। তার এই প্রস্তাবকে আমি অনুশাসন মনে করে তার সব প্রস্তাবই গ্রহণ করা হলো।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে রপ্তানি খাতের উৎস করের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত ১ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.৭০ শতাংশ ধার্য করা হলো। অর্থাৎ মাত্র ১০ পয়সা বাড়ল। যেখানে আগে ছিল ০.৬০ শতাংশ। এ ছাড়া পাট ও পাটজাত পণ্য ও হিমায়িত দ্রব্যসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বিদ্যমান ০.৬ শতাংশ উৎস কর ২০১৬ পর্যন্ত বহাল থাকবে।’

অর্থমন্ত্রী বক্তৃতায় অন্যান্য খাতের বিষয়ে বলেন, ‘রপ্তানিমুখী শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত বিভিন্ন কেমিক্যাল আমদানিতে শুল্ক ২৫ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ ও স্পিনিং শিল্পের কাঁচামাল ফ্লাস্ক ফাইবারের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। এ ছাড়া ইলেকট্রনিক শিল্পের কাঁচামাল সিলিকন আমদানিতে শুল্ক হ্রাস করা হবে। ই-কমার্সের সঠিক সংজ্ঞা দেওয়া হবে, মেডিকেল ও সার্জারি পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে পণ্যের কাঁচামাল আমদানিতে ৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ করা হবে। তবে জীবন বাঁচানো ওষুধের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করছি।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে অনুচ্ছেদ ২০১৩ এর তথ্য-প্রযুক্তিতে নিয়োজিত স্থাপনা ভাড়ার ওপর ৫৪ শতাংশ ভ্যাট সম্পূর্ণরূপে অব্যাহতি দেওয়া হলো। শিল্পখাতে বিদ্যমান মূলধনী যন্ত্রপাতির উপর ১ শতাংশ আমদানি শুল্ক অব্যাহত রেখে আরো কতিপয় শিল্পের ক্ষেত্রে এই সুবিধা সম্প্রসারণ করা হবে। ভোজ্যতেল, চিনি, ডাল, চাল ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিদ্যমান শুল্ক অব্যাহতির রেয়াত আগামী বছরও কার্যকর থাকবে। পর্যটন শিল্পে সিপার ও যন্ত্রপাতিতে সীমিত রেয়াত সুবিধা অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া ওষুধ শিল্পের কতিপয় কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক সুষম করা হবে।’

সিগারেটের ক্ষেত্রে বিদ্যমান উৎসকর অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সিগারেটের ক্ষেত্রে বিদ্যমান উৎসকর অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া বহুজাতিক কোম্পানির আয়ের হিসাব বর্তমানে সার্বজনীন কর বছর জুলাই-জুন তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। তারা তাদের হিসাব তাদের দেশের কোম্পানিগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে রাখতে পারবে।’

তিনি বলেন, ‘প্রাকৃতিক রাবার তৈরিতে উৎপাদন পর্যায়ে বিদ্যমান মূল্য সংযোজন কর (মূসক) প্রত্যাহার করা হয়েছে। দেশে উৎপাদিত প্লাস্টিক পণ্যে ট্যারিফ মূল্য ৩৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪৫ টাকা, প্রণোদনা দেওয়ার লক্ষ্যে চা উৎপাদনে প্রতি কেজি চায়ের ট্যারিফ মূল্য ১.৬ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১ কেজি তাজা ফুলের ট্যারিফ মূল্য ১ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হলো। নির্মাণ খাতের উপরণ বিশেষ করে বাঁশ, রড ও অ্যালুমিনিয়ামসহ বিভিন্ন পণ্যে আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে। অন্যদিকে এর কাঁচামাল আয়কন ও ফ্যারোয়েল ইত্যাদির শুল্ক সুষমভাবে হ্রাস করা হবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ

Wordbridge School
Link copied!