• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অশান্ত দার্জিলিং: ভারত ছাড়ছেন পর্যটকরা


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুন ১২, ২০১৭, ১০:০৬ পিএম
অশান্ত দার্জিলিং: ভারত ছাড়ছেন পর্যটকরা

ঢাকা: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং পাহাড়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ডাকা অনির্দিষ্টকাল হরতালের ডাক দিয়েছে। হরতালের প্রথম দিনেই সোমবার (১২ জুন) একাধিক সরকারি অফিসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। ফলে আতঙ্কিত পর্যটকরা দলে দলে পাহাড়ের হোটেলগুলো ছেড়ে ছুটেছেন বাস স্টপেজগুলোতে। 

সকল স্কুলে বাংলা ভাষায় বই পড়ানোর জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে বাংলায় একটি বই পড়ানো হবে। ছাত্র-ছাত্রীরা ইচেছ করলে তা সিলেবাসে নিতে পারবে। এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পশ্চিমবেঙ্গের পাহাড়ে হরতাল ডেকেছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। হরতালের প্রভাবে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আতঙ্কিত হয়ে পর্যটকরা ভারত ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে হোটেল ছেড়ে রাস্তায় অবস্থান নিয়েছেন। যে যেদিকে পারছেন ছুটে চলেছেন, আপাততো যারা ভারত ছাড়তে পারছেন না, তারা পশ্চিমবঙ্গ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরে সুবিধা মতো সময়ে ভারত ছেড়ে চলে যাবেন। বাস স্টপেজেও টিকেট পেতে ভোগান্তিতে পড়েছেন বিশাল সংখ্যার এতো পর্যটক।

দার্জিলিংয়ের স্কুলগুলোতে বাংলা ভাষা পড়ানোর সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ও আলাদা গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবিতে এই হরতালের ডাক দিয়েছে। যদিও পশ্চিমবঙ্গ সরকার বলছে কড়া হাতে হরতাল সমর্থকদের মোকাবেলা করা হবে। হরতালের কারণে দার্জিলিংয়ে ব্যাংক বা সরকারি অফিস কিছুই খোলেনি, চলেনি পর্যটকদের বড় আকর্ষণ পাহাড়ের বিখ্যাত টয় ট্রেনও।

গত সপ্তাহ থেকেই দার্জিলিংয়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ও রাজ্য প্রশাসনের মধ্যে সংঘাত চলছে। হরতাল ডেকে মোর্চার সমর্থকরা লেবংকার্ট রোডে পূর্ত দফতরের অফিসে ও বিজনবাড়ি গ্রামের পঞ্চায়েত কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ছাড়াও সোনাদায় ভাঙচুর চালানো হয় বিদ্যুৎ দফতরের অফিসেও।

মোর্চার নেতা বিমল গুরুং আগেই ঘোষণা দিয়েছেন, এখন তাদের কর্মীদের ঘরে চুপচাপ বসে থাকার সময় নয়। স্বৈরতান্ত্রিক নীতি নিয়ে বাংলা তাদের সংস্কৃতিকে আমাদের নেপালি বা গোর্খা জাতিসত্ত্বার ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে সেটা তো রোজ টিভিতে সবাই দেখতে পাচ্ছে। আমাদের লোকজন নীরবে সেটা আর সহ্য করবে না, তারা আন্দোলন করে জেলে যাবে - কিন্তু জাতিসত্ত্বার ওপর অন্যায় হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করবে না।

যে সব ইস্যুতে মোর্চা হরতাল ডেকেছে তার মধ্যে একটা হল পাহাড়ের স্কুলগুলোতে বাংলা শেখানো চলবে না। যদিও রাজ্য সরকার বলছে বাংলা ভাষাশিক্ষা হবে পুরোপুরি ঐচ্ছিক। তবে পর্যবেক্ষকদের অনেকের ধারণা, মোর্চার নিয়ন্ত্রণে থাকা গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের হিসেবনিকেশ পরীক্ষা করানোর যে উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, তা ভণ্ডুল করতেই এই হরতালের ডাক দিয়েছেন বিমল গুরুং।

গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাও জানিয়ে দিয়েছে, দার্জিলিংয়ে আসা পর্যটকদের ভালমন্দের কোনও দায়িত্ব তারা নেবে না। 

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা

Wordbridge School
Link copied!