• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

অসম প্রেমে মজেছিলেন ফ্রান্সের নয়া প্রেসিডেন্ট


আন্তর্জাতিক ডেস্ক মে ৮, ২০১৭, ০৫:১৯ পিএম
অসম প্রেমে মজেছিলেন ফ্রান্সের নয়া প্রেসিডেন্ট

ঢাকা: দু’জনের বয়সের ব্যবধান ২৫ বছর। সম্পর্কের সূত্রপাতও বেশ অস্বাভাবিকভাবে। ষোল বছরের এক কিশোর প্রেমে পড়েন ৪০ বছর বয়সী এক নারীর, যিনি তার স্কুল শিক্ষকও বটে। সে সময় ছিলেন তিন সন্তানের জননী। এখানে যার কথা বলা হচ্ছে তিনি হলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী ইমানুয়েল মাক্রোঁ। 

মাক্রোঁর বয়স এখন ৩৯ এবং তার স্ত্রী ব্রিজিথ তোনিয়োর বয়স ৬৪ বছর। মাক্রোঁ বয়স তখন মাত্র ১৬ - আর সেই সময়েই তিনি ৪১ বছর বয়সী নারীর প্রেমে পড়েন। তবে তার পরিবার এটি থামাতে চেয়েছিল। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি।

মাক্রোঁ স্ত্রী একসময় তার স্কুলের নাটকের শিক্ষিকা ছিলেন। ফ্রান্সের রাজনীতিতে ইমানুয়েল মাক্রোঁর নাটকীয় উত্থান হয়েছে। অথচ স্কুল জীবনে মাক্রোঁ কখনোই রাজনীতিবিদ হতে চাননি।

তিনি চেয়েছিলেন একজন ঔপন্যাসিক হতে। স্কুলে জীবনে তিনি খুবই মেধাবী ছিলেন। তার স্কুল শিক্ষিকা এবং বর্তমানে তার স্ত্রী ব্রিজিথ তোনিয়ো ছোট বেলা থেকেই তাকে চেনেন। ব্রিজিথ তোনিয়ো মনে করেন, মাক্রোঁ স্কুল জীবনে অন্যদের চেয়ে ব্যতিক্রমী ছিল।

তিনি যখন ঐ স্কুল ছেড়ে যান, তারপর থেকে তার প্রাক্তন এই শিক্ষিকার সাথে আরো গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ব্রিজিথ তোনিয়ো বলেছেন, মাক্রোঁ স্কুল ছেড়ে যাবার পর তাদের দু’জনের মধ্যে টেলিফোনে দীর্ঘ কথোপকথন হতো।

ধীরে-ধীরে শিক্ষিকার মন জয় করেন ছাত্র। দু’জনের মধ্যে যখন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে, তখন শিক্ষিকা ছিলেন বিবাহিতা এবং তিন সন্তানের জননী। আগের স্বামীকে ছেড়ে তিনি ২০০৭ সালে বিয়ে করেন মাক্রোঁকে।

অনেকদিন ধরেই এ দম্পতি প্রচারণা থেকে দূরে ছিলেন। কিন্তু মাক্রোঁ যখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য মনস্থির করেন, তখন তারা অনেক বেশি জনসম্মুখে আসেন।

তাদের দু’জনের বয়সের ব্যবধান নিয়ে অনেক কথা শুনতে হয়েছে মাক্রোঁ এবং ব্রিজিথকে। মাঝেমধ্যে এসব সমালোচনার জবাবও দিয়েছেন মাক্রোঁ। একবার তিনি বলেছিলেন, বয়সের ব্যবধানটা যদি উল্টো হতো অর্থাৎ আমি যদি আমার স্ত্রীর চেয়ে ২৫ বছরের বড় হতাম, তাহলে বিষয়টিকে কেউ অস্বাভাবিক বলতো না। মানুষ ভিন্ন কিছু দেখে অভ্যস্ত নয়। অনেকে বলছেন মাক্রোঁর প্রেম এবং বিয়ে তার জীবনে আত্মবিশ্বাস তৈরিতে একটি প্রভাব ফেলেছে।

ফরাসি একজন সাংবাদিক এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি যদি তার চেয়ে ২৪ বছরের বড় এবং তিন সন্তানের এক জননীকে আকর্ষণ করতে পারেন, তাহলে একই উপায়ে তিনি ফ্রান্সকেও জয় করতে পারবেন। 

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!