• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অসাধারণ ঐক্যের পরিচয় দিয়েছে বাংলাদেশ


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ৩০, ২০১৭, ০৭:৪১ পিএম
অসাধারণ ঐক্যের পরিচয় দিয়েছে বাংলাদেশ

ঢাকা: রোহিঙ্গা সঙ্কটের প্রতি ইঙ্গিত করে রোমান ক্যাথলিকদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস বলেছেন, গত কয়েক মাসে রাখাইন থেকে আসা বিপুল সংখ্যক শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে এবং তাদের মৌলিক প্রয়োজন পূরণ করার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের সমাজ উদার মন এবং অসাধারণ ঐক্যের পরিচয় দিয়েছে।

বাংলাদেশ সফরের প্রথম দিন (৩০ নভেম্বর) বঙ্গভবনে এক অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে এ আহ্বান জানান পোপ ফ্রান্সিস। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে একান্ত বৈঠকের পর দরবার হলে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও কূটনীতিকদের উপস্থিতিতে তিনি স্পেনিশ ভাষায় বক্তব্য দেন। 

তিনি বলেন, এটা ছোট কোনো বিষয় নয়, বরং পুরো বিশ্বের সামনেই এটি ঘটেছে। পুরো পরিস্থিতি, মানুষের অবর্ণনীয় কষ্ট এবং শরণার্থী শিবিরগুলোতে থাকা আমাদের ভাই-বোন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু, তাদের ঝুঁকির গুরুত্ব বুঝতে আমরা কেউই ব্যর্থ হইনি। এই সঙ্কট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এগিয়ে আসাটা অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেন পোপ।

রোমান ক্যাথলিকদের প্রধান ধর্মগুরু বলেন, কঠিন এই সঙ্কট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। তবে শুধু রাজনৈতিক বিষয় সমাধানই নয়, বাংলাদেশে দ্রুত মানবিক সহায়তাও দিতে হবে।

তিনি বক্তব্যে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি এড়িয়ে যান। বাংলাদেশে আসার আগে মিয়ানমার সফরেও রোহিঙ্গা নামটি উচ্চারণ না করায় তার সমালোচনা হচ্ছে।  

ভাষণের শুরুতেই পোপ সফরের আমন্ত্রণ জানানোয় রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান। এসময় তিনি তার দুই পূর্বসূরি পোপ ষষ্ঠ পল, পোপ দ্বিতীয় জন পলের বাংলাদেশ সফরের কথাও স্মরণ করেন।

পোপ বলেন, আমি মনে করি, এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই  আপনাদের বিশেষ পরিচয়ের ধারক। বাংলাদেশ এমন একটি দেশ, যেখানে বিভিন্ন ভাষাভাষী ও সংস্কৃতির জাতি-গোষ্ঠির মধ্যে ঐক্য রয়েছে।

তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবুর রহমান বিষয়টি বুঝতে পেরেছিলেন এবং এই আদর্শ সংবিধানে যুক্ত করার কথা বলেছিলেন। তিনি একটি আধুনিক, বহুত্ববাদী এবং অংশগ্রহণমূরখ একটি সমাজের স্বপ্ন দেখেছিলেন, যেখানে প্রতিটি মানুষ এবং জাতি মুক্ত, শান্তি ও নিরাপত্তার মধ্যে বসবাস করতে পারবে, যেখানে পরষ্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ এবং সমান অধিকার থাকবে।

মিয়ানমার থেকে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় ঢাকায় পৌঁছে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শনের পর বঙ্গভবনে যান পোপ। শুক্রবার সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নাগরিক সমাবেশে প্রার্থনা করবেন পোপ ফ্রান্সিস।

সোনালীনিউজ/জেএ

Wordbridge School
Link copied!