• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অস্তিত্ব সংকটে সরকার বেসামাল


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ৪, ২০১৭, ০৪:০০ পিএম
অস্তিত্ব সংকটে সরকার বেসামাল

ঢাকা: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন- মাননীয় প্রধান বিচারপতি অসুস্থ নন। তাকে জোর করে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখা হয়েছে। সর্বোচ্চ আদালতের সর্বোচ্চ বিচারপতির সঙ্গে এমন আচরণ থেকে প্রমাণিত হয় যে, সরকার অস্তিত্ব সংকটের ভীতিতে বেসামাল হয়ে পড়েছে।

বুধবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধান বিচারপতির কার্যালয় থেকে তার অসুস্থতার ব্যাখ্যা দেয়া উচিত। ভোট ও ভোটারবিহীন এক নির্বাচনী প্রহসনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসীন বর্তমান সরকারি দল আওয়ামী লীগ ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি কয়েক মিনিটের মধ্যে বহুদলীয় সংসদীয় গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় স্বৈরশাসন বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। স্বাধীনভাবে রাজনৈতিক বিশ্বাস লালন করার জন্য অন্য কোনো দল গঠনের অধিকার থেকে জনগণকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছিল। এমনকি বিচার বিভাগকে প্রশাসনের অধীন করা হয়েছিল। উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ ও বরখাস্তের ক্ষমতা ছিল প্রশাসনের প্রধান রাষ্ট্রপতির হাতে। আজ আবার সেই রাজনৈতিক দলটিই কৌশলে ক্ষমতা দখল করে সুকৌশলে বাকশাল কায়েমের অপচেষ্টায় রত।

ফখরুল বলেন, প্রধান বিচারপতি মাত্র কয়েক দিন আগে জাপান ও কানাডা সফর করে এসেছেন। এসব দেশে উন্নত চিকিৎসা থাকা সত্ত্বেও তিনি সেখানে কোনো চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন বলে দেশবাসী জানে না। এমনকি গত পরশু তিনি সুপ্রিম কোর্টে তার কার্যালয়ে বসে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ও ফাইল সই করেছেন। নিয়মিত প্রথা অনুযায়ী, গতকাল সব বিচারপতিকে নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্তও দিয়েছিলেন। অথচ গতকাল আইনমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেল মিডিয়াকে জানিয়েছেন, তিনি নাকি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ছুটি নিয়েছেন। কিন্তু গত পরশু সন্ধ্যায় তার বাসভবনে সাক্ষাৎপ্রার্থী সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে তার পক্ষ থেকে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনেই জনৈক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মাননীয় প্রধান বিচারপতি বলেছেন-‘আমি সুস্থ আছি, কিন্তু কথা বলতে পারব না।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের সর্বসম্মত রায় দেয়ার পর থেকে সর্বোচ্চ আদালত এবং তার সম্মানিত বিচারপতিগণকে সরকারপ্রধান থেকে সরকারের মন্ত্রীবর্গ ও সরকারি দল ও জোটের নেতাকর্মীরা অসাংবিধানিক, অযৌক্তিক ও কুৎসিত ভাষায় সমালোচনা করে চলেছেন। এমনকি জাতীয় সংসদে যে ভাষায় সর্বোচ্চ আদালত ও তার বিচারপতিগণের সমালোচনা করা হয়েছে তা শুধু অভূতপূর্ব নয়-অস্বাভাবিকও।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা এবিএম মোশাররফ হোসেন, শরফত আলী সপু, আবদুস সালাম আজাদ, আবদুল আওয়াল খান, শরীফুল আলম, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনীর হোসেন।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!