• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অস্ত্র মামলায় কাদের খান একদিনের রিমান্ডে


গাইবান্ধা প্রতিনিধি মার্চ ৭, ২০১৭, ১০:০০ পিএম
অস্ত্র মামলায় কাদের খান একদিনের রিমান্ডে

গাইবান্ধা: গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মনজুরুল ইসলাম লিটন হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ডা. আবদুল কাদের খানের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে দায়ের করা একটি মামলায় একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) দুপুরে জেলা অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মইনুল হাসান ইউসুব এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে পুলিশ ডা. কাদের খানকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানায়। শুনানি শেষে আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সরকারি কৌসুলি অ্যাড. শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, সাংসদ মনজুরুল ইসলাম লিটনকে হত্যার আরও একটি অস্ত্র পুলিশ এখনো উদ্ধার করতে পারেনি। আবদুল কাদের খানের ব্যবহৃত সেই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের প্রয়োজনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আদালতে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে বিচারক শুনানি শেষে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

কয়েকদিন গৃহবন্দি থাকার পর গত ২১ ফেব্রুয়ারি বগুড়ার বাড়ি থেকে আবদুল কাদের খানকে সাংসদ মনজুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন গাইবান্ধার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারক হাকিম আদালত তার ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড চলাকালীন চতুর্থদিনে তিনি সাংসদ মনজুরুল ইসলাম লিটনকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী দেন। পরে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। অপরদিকে আবদুল কাদের খানের স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী দেয়ার পর তার গ্রামের বাড়ি থেকে একটি পিস্তল, ম্যাগজিন ও গুলি উদ্ধার করে পুলিশ।

গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য মনজুরুল ইসলাম লিটন  সুন্দরগঞ্জের নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে রাত সাড়ে ৭টায় চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় লিটনের বোন ফাহমিদা বুলবুল কাকলি বাদি হয়ে অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি সুন্দরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের প্রায় দেড় শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে ৩০ জনকে সাংসদ লিটন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বাকীদের বিভিন্ন সময়ে সুন্দরগঞ্জে সংঘটিত বিভিন্ন নাশকতার মামলায় জেল হাজতে পাঠানো হয়।  

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!