• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি রোগীরা


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ১৯, ২০১৬, ১২:১৭ পিএম
অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি রোগীরা

দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোকে ঘিরে গড়ে উঠেছে ‘বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট’। তাদের কাছে জিম্মি রোগী ও তাদের স্বজনরা। নৈরাজ্য বন্ধে সরকারের পক্ষ থেকেও নেই জোরালো পদক্ষেপ। তাই রীতিমতো অসহায় হাসপাতালে আসা সাধারণ মানুষ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারিভাবে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, সিভিল ডিফেন্স বা দমকল বাহিনীর হাতে দেওয়া উচিত। অবশ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, নৈরাজ্য বন্ধে নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে।

দরদামের কোনো সুযোগ নেই। তারা যা বলবেন সেই ভাড়াতেই যেতে হবে। রাজধানীর অর্থপেডিক ও চক্ষু বিজ্ঞান হাসপাতালের গা ঘেঁসে গড়ে উঠেছে এই অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট। সাদা চোখে কেবল চালকদের দেখা গেলেও এই সিন্ডিকেটের শিকড় অনেক গভীরে-দেখা যায় না!

রাজধানীর সরকারি হাসপাতালগুলোতে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, কোনোটিতেই ৫টির বেশি অ্যাম্বুলেন্স নেই। কোথাও এই সংখ্যা ২ থেকে ৩টি। বেসরকারি হাসপাতালেও রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স সংকট। এই সুযোগে হাসপাতালকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হয়েছে অ্যাম্বুলেন্স বাণিজ্য।

আর এই সিন্ডিকেট কতটা শক্তিশালী সম্প্রতি তার নজির দেখা গেছে ঢাকা মেডিকেলে। অ্যাম্বুলেন্সচাপায় কয়েকজন নিহতের পর পুলিশি তৎপরতায় বেঁকে বসে অ্যাম্বুলেন্স চালকরা। আর এতেই দুর্ভোগ পোহাতে হয় শত শত মানুষকে।

সোমবার সকালে আনোয়ার ও সুমনের মা মারা যান ঢাকা মেডিকেলে। অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশটি সিলেটে নিতে দুই ভাই দীর্ঘ সময় ঘুরেছেন হাসপাতালের ভেতরে বাইরে। কিন্তু সোমবার দুপুর পর্যন্ত তারা অ্যাম্বুলেন্স পাননি।

মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগকে পুঁজি করে গড়ে ওঠা এই অমানবিক অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট বন্ধে পদক্ষেপ নিতে বলছেন ভুক্তভোগীরা। তাদের দাবি, সরকারের উদ্যোগেই পর্যাপ্ত অ্যাম্বুলেন্সর সুযোগ সৃষ্টি করা উচিত। কারণ অ্যাম্বুলেন্স নামের এই বাহনটি সরকারের চিকিৎসা সেবারই অংশ।

স্বাস্থ্য অধিকার নিয়ে কাজ করেন এমন ব্যক্তিরা বলছেন, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে যেসব মাইক্রোবাসকে অ্যাম্বুলেন্স নামে চালানো হচ্ছে সেগুলো অ্যাম্বুলেন্সের সংজ্ঞায় পড়ে না। হয়তো এসব কারণেই এমন যানগুলোতেও দেখা মেলে মাদক সেবনের দৃশ্য!

স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলনের জাতীয় কমিটির সভাপতি ডা. রশিদ ই মাহবুব বলেন, ‘ফায়ার ব্রিগেড এবং সিভিল ডিফেন্সের একটা চেইন আছে। সরকারের উচিত এদেরকে শক্তিশালী করা। তারা যদি এটা নিয়ন্ত্রণ করে তাহলে এই নৈরাজ্য কমে আসবে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মাদ নাসিম জানিয়েছেন, নৈরাজ্য বন্ধে নীতিমালা তৈরির কাজ চলছে।

রাজধানীতে অ্যাম্বুলেন্সের সংখ্যা কত এর সঠিক কোনো পরিসংখ্যান কারো কাছেই নেই।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ

Wordbridge School
Link copied!