• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অ্যালার্জি নিয়ন্ত্রণে ঘরোয়া পথ্য


স্বাস্থ্য ডেস্ক জুলাই ১৯, ২০১৬, ০৭:১২ পিএম
অ্যালার্জি নিয়ন্ত্রণে ঘরোয়া পথ্য

প্রতিটি জীবদেহ স্বতন্ত্র বিপাকক্রিয়া ধরনের। কোনো কারণে দেহের বিপাকক্রিয়ায় সমস্যা হলে স্বাভাবিক নিয়মেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে নানারকম অ্যালার্জির লক্ষণ দেখা যায়। অনেক ক্ষেত্রে এটি বিশেষ সমস্যা তৈরি না করলেও কারো কারো ক্ষেত্রে অ্যালার্জি অত্যন্ত গুরুতর ও স্পর্শকাতর হয়ে দাঁড়ায়।

অ্যালার্জির অন্যতম কারণ হলো পরিবেশগত উপাদান। তবে অনেক সময় জেনেটিক গঠন, পরিবারের কারো অ্যালার্জি থাকলে, বিশেষ করে বাবা-মা, ভাইবোনের মধ্যে অ্যালার্জি থাকলে তা বংশানুক্রমিকভাবে বাকিদের মধ্যেও দেখা যেতে পারে। এছাড়া ফুলের রেণু বা পরাগ, ধুলা, নানারকম খাবার, পোষা প্রাণী, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও পোকামাকড়ের কামড় থেকে অ্যালার্জি হতে পারে।

চুলকানি, সর্দি, হাঁচি ও শ্বাসকষ্টের প্রবণতা, ত্বক ফুলে ওঠা, লাল রঙের ছোট ছোট ফুসকুড়িতে হাত-পা ভরে যেতে দেখা যায়। অ্যালার্জির জন্য অন্যতম দায়ী উপাদান হলো- ইম্যুনোগ্লোবুলিন বা সংক্ষেপে আইজিই হিসেবে পরিচিত অ্যালার্জিক অ্যান্টিবডি। দেহের জন্য ক্ষতিকর কিছু দেহে প্রবেশ করলে এর প্রতিক্রিয়ায় সেটিকে ধ্বংস করতে তাৎক্ষণিক ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে সৃষ্টি হয় এক ধরনের আমিষ জাতীয় উপাদান, যা অ্যান্টিবডি হিসেবে পরিচিত।

অ্যালার্জি রয়েছে এমন কোনো কিছু দেহে প্রবেশ করলে বিপাকক্রিয়ার সাধারণ নিয়মে আইজিই অ্যান্টিবডি সৃষ্টি হয় এবং সেগুলো অ্যালার্জেনের বিরুদ্ধে লড়তে শুরু করে। এসময় অ্যান্টিবডিগুলো দেহের কোষগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে এবং অ্যালার্জেন-বিরোধী রাসায়নিক উপাদান কোষে কোষে পৌঁছে দেয়। আর তখনই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে আমাদের দেহ স্পর্শকাতর হয়ে ওঠে এবং অ্যালার্জি দেখা দেয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া বাড়তে থাকে। একসময়ে তা তীব্র আকার ধারণ করলে দেহে অ্যালার্জেন প্রবেশ করে এবং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া শুরু হয়।

অ্যালার্জেনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সহজ একটি ঘরোয়া পথ্য যা অ্যালার্জি নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এই পথ্যটি দারুণ কার্যকর। ছাগলের দুধ দুই কাপ ও তাজা মিষ্টি কুমড়ার এক কাপ রস একসঙ্গে মেশান। এতে এক কাপ ফুটানো পানি ঢালুন এবং ভালো করে নাড়–ন। স্বাস্থ্যকর এই তরলটি দিনে তিন থেকে চারবার পান করুন। বিশেষ করে প্রতিবার মূল খাবারের আধা ঘণ্টা আগে। তরলটি হালকা গরম অবস্থায় পান করবেন। এক্ষেত্রে পান করার সময় পানীয়টির তাপমাত্রা ৩৪ থেকে ৪৫ ডিগ্রি হওয়াই ভালো।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই

 

Wordbridge School
Link copied!