• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আইনজীবীদের বয়স নির্ধারণে আসছে বার কাউন্সিল রুলস


আদালত প্রতিবেদক এপ্রিল ১৩, ২০১৭, ০৯:৩৯ এএম
আইনজীবীদের বয়স নির্ধারণে আসছে বার কাউন্সিল রুলস

ঢাকা: জেলা জজ আদালত ও হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধিত হওয়ার ক্ষেত্রে বয়স নির্ধারণের ব্যাপারে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল একটি রুলস করতে পারে বলে মত দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এ সংক্রান্ত মামলার আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায়ে এমন পর্যবেক্ষণ ওঠে এসেছে।

১১১ পৃষ্ঠার রায় ইতোমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি মৌখিকভাবে রায়ে ৪০ বছর বয়স নির্ধারণের ব্যাপারে আদালত মত দেন- এমনটি আইনজীবীরা জানিয়েছিলেন। তবে পূর্ণাঙ্গ রায়ে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো বয়সসীমা উল্লেখ করা হয়নি।
রায়ে আইন পেশার মান নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বার কাউন্সিল নিয়ে বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ দেয়া হয়েছে।

যার মধ্যে রয়েছে বার কাউন্সিল বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে আইনের সিলেবাস প্রণয়নের ক্ষেত্রে বার কাউন্সিল তদারক করতে পারবে।
তাছাড়া, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চার বছর মেয়াদী আইনের ডিগ্রি ব্যতীত অন্য কোনো ডিগ্রি গ্রহণযোগ্য হবে না। কোনো সরকারি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতি সেমিস্টারে ৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না।

বার কাউন্সিল যেভাবে নির্দেশনা দেবে সে অনুযায়ী যথেষ্ট পরিমাণ শিক্ষক নেই এমন কোনো সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বা ল’ কলেজ আইন পড়াতে পারবে না। বার কাউন্সিল এডভোকেট হিসেবে সনদ প্রদানের ক্ষেত্রে প্রতি বছর এনরোলমেন্ট পরীক্ষার কার্যক্রম শেষ করবে।

এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ এই মামলায় দারুল ইহসানের আপিল খারিজ করে দেন। তাই দারুল এহসানের পাঠদানের আর কোনো সুযোগ এখন নেই।

দারুল এহসান বন্ধ সংক্রান্ত রায়েই হাইকোর্ট বিভাগ আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধিত হওয়ার ক্ষেত্রে কিছু শর্ত বেধে দেন। আপিল বিভাগ সে রায় কিছুটা সংশোধন করে নতুন এই পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী খায়রুল আলম চৌধুরী।

বার কাউন্সিলের সনদ গ্রহণের পরীক্ষায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই বছর মেয়াদী ডিগ্রিধারীদের সনদ নিয়ে জটিলতার প্রেক্ষিতে হওয়া রিটের রায়ে ২০১৬ সালের ২৫ জুলাই এলএলবি কোর্স সম্পর্কে কিছু নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের নির্দেশও দেন আদালত।

হাইকোর্টের সেই রায়ের বিরুদ্ধে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আপিল করেছিল। সেই মামলায় দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের আপিল খারিজ করেছেন। এছাড়া এই মামলায় অন্য যেসব বিশ্ববিদ্যালয় পক্ষভুক্ত হয়েছিল আবেদন নিস্পত্তি করেছেন আপিল বিভাগ। সেই মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়েই এসব নির্দেশনা প্রদান করা হলো।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!