• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

আইসিসি পুরস্কারের যোগ্য নয় মোস্তাফিজ: ভারতীয় মিডিয়া


ক্রীড়া ডেস্ক ডিসেম্বর ২৪, ২০১৬, ০২:১৫ পিএম
আইসিসি পুরস্কারের যোগ্য নয় মোস্তাফিজ: ভারতীয় মিডিয়া

বাংলাদেশ ক্রিকেটে আরো একটি গৌরব বয়ে আনেন মোস্তাফিজুর রহমান। আইসিসির বর্ষসেরা উদীয়মান ক্রিকেটার নির্বাচিত হন ২১ বছর বয়সী এ বাঁহাতি পেসার। তবে, সেটি যেন ঠিক হজম করতে পারছে না ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো। মোস্তাফিজুর রহমান এই পুরস্কারের জন্য যোগ্য নয় বলে দাবি করেছে ভারতীয় ওয়েবসাইট ‘স্পোর্টসকিডা’।

বর্ষসেরা নির্ধারণে ভোটিং সময়সীমা ধরা হয় গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে এ বছরের ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে আইসিসির একক কোনো বার্ষিক পুরস্কার জেতেন মোস্তাফিজ। এ সময়ের মধ্যে তিনি তিনটি ওয়ানডেতে ৮টি উইকেট লাভ করেন। আর টি-টোয়েন্টিতে ১০ ম্যাচে তুলে নেন ১৯টি উইকেট।

আইসিসির ২০১৬ এর বর্ষসেরা উদীয়মান ক্রিকেটার নির্বাচিত হওয়া এই টাইগার পেসারকে নিয়ে ভারতের ক্রিকেট ওয়েবসাইট স্পোর্টসকিডা এক প্রতিবেদনে সেরা উদীয়মান ক্রিকেটারের জন্য তাকে অযোগ্য বলে দাবী করেছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকেই তারকাখ্যাতির জানান দেন মোস্তাফিজ। গোটা ক্রিকেট বিশ্বই তার বোলিং দেখে মুগ্ধ। এখন পর্যন্ত ৯টি ওয়ানডেতে ২৬টি উইকেট নিয়েছেন। বোলিং গড় ১২.৩৪। ইকোনমি রেট ৪.২৬। তার মধ্যে রয়েছে গত বছর ভারতের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম দুই ম্যাচে ১১ উইকেট শিকারের কীর্তি।

আর ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ টি-টোয়েন্টিতে ১৩ ম্যাচে ২২ বার উইকেট উদযাপন করেন। টেস্টে অবশ্য নিয়মিত নন মোস্তাফিজ। ইনজুরি মুক্ত ও ফিটনেস ঠিক রাখতেই তাকে এ ফরমেট থেকে দূরে রাখছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, বিসিবি। সাদা পোশাকে দুই ম্যাচ খেলে মোস্তাফিজ নিয়েছেন ৪টি উইকেট।

অথচ, স্পোর্টসকিডা তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, ‘মোস্তাফিজ ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষে দুর্দান্ত বোলিং করেছে। এরপর থেকেই সে বাংলাদেশ জাতীয় দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। কিন্তু, আইসিসির ২০১৬ এর বর্ষসেরা উদীয়মান ক্রিকেটার নির্বাচিত হওয়ার মতো তার পারফর্ম ছিল না। পুরস্কার পাওয়ার মতো পর্যাপ্ত ম্যাচ খেলেনি মোস্তাফিজ। ১৩ ম্যাচে (৩ ওয়ানডে, ১০ টি-টোয়েন্টি) মোট ২৭টি (ওয়ানডেতে ৮, টি-টোয়েন্টিতে ১৯) উইকেট অর্জন করেছে। বোলিং গড় ১১.৭৪।’

প্রতিবেদনে আরও লেখা হয়েছে, ‘মোস্তাফিজের সময়ে আরও কিছু ক্রিকেটার দুর্দান্ত খেলেছেন। শ্রীলঙ্কার কুশল মেন্ডিস জাতীয় দলের মেরুদন্ড হয়ে খেলেছেন। তিন ফরমেটেই তার পারফর্ম ছিল চোখে পড়ার মতো। একই সময়ে ভারতের লোকেশ রাহুল ভালো ব্যাটিং করেছেন। তিন ফরমেটের ক্রিকেটেই তার ব্যাটিং গড় ছিল ১০০’র উপরে। ভারতের জাসপ্রিত বুমরাহ টি-টোয়েন্টিতে ২০১৬ সালের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এসে সে প্রথম বছরেই ২৪ ম্যাচ খেলে তুলে নিয়েছে ৩৭ উইকেট।’

প্রতিবেদনের শেষ দিকে লেখা হয়, ‘আইসিসির সেরা উদীয়মান খেলোয়াড় হিসেবে এরপরেও যদি কেউ যোগ্যতা রাখে তাহলে সে হবে দক্ষিণ আফ্রিকার কেগিসো রাবাদা। মোস্তাফিজ ও রাবাদা একই বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছে। উইকেট শিকারের দিক দিয়ে রাবাদা ভারতের স্পিনার রবীচন্দ্রন অশ্বিনের পরে অবস্থান করছে। তিন ফরমেটে সে ৩২ ম্যাচে তুলে নিয়েছে ৬৭টি উইকেট।’

বর্তমানে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে নিউজিল্যান্ডে অবস্থান করছেন মোস্তাফিজ। কিউইদের বিপক্ষে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে ইনজুরি কাটিয়ে লম্বা বিরতির পর বোলিংয়ে ফেরেন তিনি। গত বৃহস্পতিবারের (২২ ডিসেম্বর) ম্যাচটিতে বৃষ্টি আইনে তিন উইকেটে হেরে গেলেও বল হাতে দুই উইকেট নিয়ে উজ্জ্বল ছিলেন ‘কাটার মাস্টার’ খ্যাত মোস্তাফিজ।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!