• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আউশ ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি


লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি আগস্ট ১৩, ২০১৮, ০৩:০২ পিএম
আউশ ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

লক্ষ্মীপুর : জেলায় আউশ ধানের ভালো ফলন হয়েছে। বাম্পার ফলনে এবার কৃষকের গোলা ভরবে। প্রত্যাশিত ফসল প্রাপ্তির আশায় তাদের অবিরাম চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

জানা গেছে, কৃষকরা রবি ফসল ঘরে তুলেই আউশ ধানের আবাদ করেন। বৈশাখ মাসে জমিতে ধান বুনেছেন। শ্রাবণে পেকেছে। এখন গোলায় তোলার পালা। কৃষকরা প্রত্যাশিত ফসল তুলতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

আউশ ধান বৃষ্টিনির্ভর ধান। জাতভেদে এ ধানের জীবনকালে খানিকটা ভিন্নতা থাকলেও বছরের নির্দিষ্ট সময়ে আবাদ করতে হয়। লক্ষ্মীপুরের কৃষকরা যথাসময়ে ধানের আবাদ করেছেন আবহাওয়া অনুকূলে ছিল।

রোগবালাই ও পোকামাকড় আক্রমণ না করাই বাম্পার ফলন হয়েছে। ভালো ফলনে তারা খুশি। এখন ভালো দাম পেলে ফুটবে মুখের হাসি।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, রবি ফসল (বাদাম, সয়াবিন, মরিচ ও ডাল জাতীয়) ফসল ঘরে তোলেই আউশের আবাদ করতে হয়। যে কারণে আউশ ক্ষেতে প্রচুর আগাছা জমে।

জমি ফসলের জন্য উপযোগী করতে ও ভালো ফলনের জন্য উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। তাতে আউশ আবাদ কম হয়। এবার ভালো ফলন হওয়াতে আগামীতে আউশের আবাদ আরও বাড়বে বলে মনে করছেন তারা।

রামগতি উপজেলা উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. ছালেহ উদ্দিন পলাশ বলেন, চলতি মৌসুমে আউশের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিগত কয়েক বছরের চেয়ে চলতি মৌসুমে অনেক ভালো ফলন হয়েছে।

হেক্টর প্রতি উফশি জাতের ৪.০০ থেকে ৫.০০ টন, স্থানীয় জাতের ২.০০ থেকে ২.৩৫ টন ধান উৎপাদন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

লক্ষ্মীপুর কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ২৮ হাজার ৪৯০ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের আবাদ হয়েছে। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় তিন হাজার সাত শ’ ১৫ হেক্টর জমিতে আউশ মৌসুমের ধান চাষ করা হয়।

এর মধ্যে হাইব্রিড ১০ হেক্টর, উফশি তিন হাজার একশ’ ৯০ হেক্টর, স্থানীয় পাঁচশ’ ১৫ হেক্টর। রায়পুরে উফশি জাতের চার হাজার হেক্টর। রামগঞ্জে একই জাতের পাঁচশ’ হেক্টর। রামগতিতে আট হাজার পাঁচশ হেক্টর, এর মধ্যে আট হাজার দুইশ’ উফশি, তিনশ’ হেক্টরে স্থানীয় জাতের ধান।

এদিকে কমলনগরে ১১ হাজার ছয়শ’ ৭৫ হেক্টর জমির মধ্যে ১০ হাজার চারশ’ হেক্টরে উফশি ও স্থানীয় জাতের এক হাজার দুইশ’ ৭৫ হেক্টর জমিতে আউশের আবাদ করা হয়।

লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. বেলাল হোসেন খাঁন বলেন, ভালো ফসল উৎপাদনের জন্য কৃষি বিভাগ কাজ করছে।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে গিয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছে। আবহাওয়াও অনুকূলে ছিল যে কারণে আউশ ধানের ভালো ফলন হয়েছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!