• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিকে অভিনন্দন


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ২৭, ২০১৬, ০২:২৯ পিএম
আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিকে অভিনন্দন

দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে দুদিনের জাতীয় সম্মেলন শেষে ঐতিহ্যবাহী এ দলের নতুন কমিটি ঘোষিত হয়েছে। রবিবার ঘোষিত নতুন কমিটিতে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হিসেবে টানা অষ্টমবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। ব্যাপক আলোচনা ও অনেক গুঞ্জনের পর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ওবায়দুল কাদের। 

কমিটিতে আরো কিছু পরিবর্তন এসেছে। সভাপতিমণ্ডলীর ১৪ সদস্যের মধ্যে সাতজন পুরনো কমিটির আর সাতজন নতুন যুক্ত হয়েছেন। নতুনদের মধ্যে বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামসহ দফতর সম্পাদক আবদুল মান্নান খান, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ড. আবদুর রাজ্জাক, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ফারুক খান, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক নুরুল ইসলাম নাহিদ, রমেশচন্দ্র সেন ও পীযূষ ভট্টাচার্য নির্বাচিত হয়েছেন। পুরনো কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি ও জাহাঙ্গীর কবির নানক একই পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে যুক্ত হয়েছেন বিদায়ী কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুর রহমান। কোষাধ্যক্ষ পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন এইচএন আশিকুর রহমান। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নবনির্বাচিত নেতাদের প্রতি রইল আমাদের আন্তরিক অভিনন্দন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী এ দলটি আগের তুলনায় এখন আরো বেশি সুসংগঠিত ও গণমুখী। দলের অভ্যন্তরীণ নানা সমস্যা দক্ষভাবে নিরসন করে দলটিকে তিনি জনবান্ধব করতে ভূমিকা রেখেছেন। সর্বোপরি ক্ষমতাসীন হয়ে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই দেশ এখন কাক্সিক্ষত উন্নয়নের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে, যা আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃত। অষ্টমবারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হয়ে শেখ হাসিনা আবারো সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। এবং দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। এ ছাড়া তিনি সভাপতি হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হয়েই ঘোষণা করেছেন, ২০১৯ সালে পরবর্তী জাতীয় সংসদের নির্বাচন হবে। এ জন্য এখন থেকেই মানুষের ঘরে ঘরে যেতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন। তার এ ঘোষণা আমাদের আশান্বিত করেছে। আওয়ামী লীগের এই নতুন কমিটি তাদের অঙ্গীকারগুলো সততার সঙ্গে বাস্তবায়নে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবে। এটি আমাদের প্রত্যাশা। কারণ বাংলাদেশের যথাযথ উন্নয়নে আওয়ামী লীগের মতো যোগ্য রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন কিছুতেই অস্বীকার করা যায় না। দলটি ক্ষমতাসীন হওয়ার পর নানাভাবেই তা স্পষ্ট হয়েছে। এবার আবার সভাপতি নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের যে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছেন, তাও অত্যন্ত সময়োপযোগী বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মতামত দিয়েছেন। ফলে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের নতুন এই কমিটি অতীতের মতো আগামীতেও দেশ ও জাতির উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাবে। 

গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে সরকার তথা ক্ষমতাসীন দলের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নতুন কমিটির নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে আরো শক্তিশালী করার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। মনে রাখতে হবে, ওই নির্বাচনটির গ্রহণযোগ্যতাও সরকারের সাফল্যের একটি বড় নির্দেশক হিসেবে বিবেচিত হবে। সেক্ষেত্রে নির্বাচন যাতে অংশগ্রহণমূলক হয়, তা নিশ্চিত করার ব্যাপারেও সরকারকে বড় ভূমিকা রাখতে হবে। এ লক্ষ্যে একটি সর্বগ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রধান দায়িত্ব এ সরকারের ওপর বর্তেছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, প্রকারান্তরে এ গুরুদায়িত্ব আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্বকেই পালন করতে হবে। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রদত্ত অঙ্গীকার সফলভাবে বাস্তবায়নসহ দলটির নতুন কমিটির সার্বিক সাফল্য প্রত্যাশা করি।

সোনালীনিউজ

Wordbridge School
Link copied!