• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি শুরু


বিশেষ প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৮, ০৫:৪২ পিএম
আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি শুরু

ঢাকা : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর বেশি দিন বাকি নেই। ফলে ক্ষতাসীন দল আওয়ামী লীগ সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ক্ষমতায় আবারো আসতে তৃণমূল থেকে কাজও শুরু করেছে দলটি।

শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মাঠ পর্যায়ের প্রচারাভিযান। এ মাসেই শুরু হবে দলীয় প্রার্থী মনোয়নের প্রক্রিয়া। এর অংশ হিসেবে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের কাছ থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সম্পর্কে মতামত নেওয়া হবে।

এছাড়া, নির্বাচন কেন্দ্রিক দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল মেটানোর উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে মনোনয়নের জন্য যারা প্রার্থী হয়ে বা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যারা দলের মধ্যে সমস্যা সৃষ্টি করছে তাদের তালিকা করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভা হয়। সেখানে নির্বাচন ঘিরে সাংগঠনিক সম্পাদকদের এসব প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের নির্দেশনা দেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মনোনয়ন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতে দলের জেলা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের ডেকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সম্পর্কে মতামত নেওয়া হবে। এ প্রক্রিয়ায় পর্যায়ক্রমে একটি করে বিভাগের জেলাগুলোকে একসঙ্গে ডাকা হতে পারে। চলতি মাসেই এই প্রক্রিয়া শুরুর কথা রয়েছে।

এরপর তৃণমূল নেতাদের ভোটে তিন জন প্রার্থী নির্বাচন করে কেন্দ্রে পাঠানো হবে। এছাড়া প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে যে জরিপ চালানো হয়েছে তার রিপোর্টও প্রার্থী মনোনয়নে গুরুত্ব পাবে। জরিপ রিপোর্ট, জেলা-উপজেলা নেতাদের মতামত এবং তৃণমুলের সুপারিশ- এ সবগুলো বিবেচনায় নিয়ে দলের সংসদীয় বোর্ডের সভায় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে।  

গত নির্বাচনেও প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত করার আগে এভাবে জেলার নেতাদের ডেকে তাদের মতামত নেওয়া হয়। এবারও নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের প্রাথমিক সব প্রক্রিয়া শেষ করা হবে। দলের সভাপতি শেখ হাসিনা গত জুলাইয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় বলেছিলেন, সেপ্টেম্বর থেকে মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, আমাদের মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। প্রতিটি নির্বাচনী আসনে দফায় দফায় জরিপ চালানো হয়েছে। এরপর আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকদের কাছ থেকে প্রার্থী সম্পর্কে মতামত নেওয়া হবে।

সবশেষ তৃণমূল থেকে নেতাদের ভোটে তিনজন মনোনয়নপ্রত্যাশীর নাম কেন্দ্রে পাঠানো হবে। এরপর পার্লামেন্টারি বোর্ড বসে এই জরিপ রিপোর্ট, জেলা-উপজেলা নেতাদের মতামত এবং তৃণমূলের নেতাদের পাঠানো নামগুলো সমন্বয় করে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হবে।

এদিকে চলতি মাস থেকেই মাঠ পর্যায়ে নির্বাচনী প্রচার শুরু হচ্ছে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতারা এই প্রচারাভিযানে অংশ নেবেন।

শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। সকালে ট্রেনযোগে ঢাকা থেকে নেতারা যাবেন উত্তরের জেলা নীলফামারী। এই রেলযাত্রাপথে টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, নাটোর, বগুড়া, জয়পুরহাট, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলার অন্তর্ভুক্ত রেল স্টেশনগুলোতে পথসভা করবেন নেতারা। এসব পথসভায় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখবেন এবং নেতাকর্মীদের নির্বাচন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেবেন।

এরপর ১৩ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ নেতারা নির্বাচনী প্রচার চালাবেন লঞ্চযাত্রার মাধ্যমে। ঢাকা থেকে বরিশালমুখী লঞ্চযাত্রার মাধ্যমে এ প্রচারাভিযান চালানো হবে। এছাড়া চলতি মাসেই ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অভিমুখে রোডমার্চ করা হবে। এই রোডমার্চের সময় পথে পথে সমাবেশ ও পথসভা করা হবে।

এ বিষয়ে আলাপ করলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী  বলেন, আমরা নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি। এর অংশ হিসেবে মাঠ পর্যায়ে প্রচারাভিযান শুরু হচ্ছে শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে। প্রথমে রেলযাত্রার মাধ্যমে প্রচার কার্যক্রম চালানো হবে। এরপর লঞ্চযাত্রা ও রোর্ডমার্চ করে প্রচারণা চালানো হবে।  

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!