• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আকাশেই কোরিয় ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করবে যুক্তরাষ্ট্রের থাড


আন্তর্জাতিক ডেস্ক এপ্রিল ২৭, ২০১৭, ০৭:৩৫ এএম
আকাশেই কোরিয় ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করবে যুক্তরাষ্ট্রের থাড

ঢাকা: হামলা করতে ছুটে আসা ক্ষেপনাস্ত্রকে আকাশেই ধ্বংস করতে পারে ‘টার্মিনাল হাই-অলটিচিউড এরিয়া ডিফেন্স’ (টিএইচএএডি) বা থাড ব্যবস্থা। উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক পদেক্ষপ নেয়ার অংশ হিসেবে এই থাড ব্যবস্থা স্থাপনের কাজ শুরু করে দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কোরিয় উপদ্বীপে সাবমেরিন পাঠানোর পরের দিনেই থাড মোতায়েনের কাজ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল থেকে আড়াই শত কিলোমিটার দক্ষিণের একটি সাবেক গলফ কোর্সে নিয়ে যাওয়া হয় থাডের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। ওই গলফ কোর্সেই স্থাপন করা হবে এই প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। এই সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়ার সময়ে খোদ দক্ষিণ কোরিয় নাগরিকরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

মার্কিন গণমাধ্যমগুলো সংবাদ প্রচার করেছে এতে চীন হুঁশিয়ারি দিয়েছে। চীন বলেছে, থাড এই অঞ্চলের নিরাপত্তাব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করবে।

কোরিয় উপদ্বীপে চলা উত্তেজনার মধ্যে উত্তর কোরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে ২৬ এপ্রিল হোয়াইট হাউজে সিনেট সদস্যদের ব্রিফ করার কথা ছিল মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিসের। বলা হচ্ছে সিনেটরদের এ ধরনের ব্রিফিং একটি বিরল ঘটনা। কিন্ত তা হয়নি। খুব শিগগিরই তা করা হবে।

থাড মোতায়েনের বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র এবং পরমাণু হামলার আশঙ্কায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে এই থাড মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়। তবে তা পূর্ণাঙ্গভাবে কার্যকর করতে এ বছরের শেষ নাগাদ লেগে যাবে।

চীন বলছে, এই অঞ্চলে ক্ষেপনাস্ত্র সরঞ্জাম স্থাপন হলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো নাজুক হয়ে যাবে। থাডের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম স্থাপনের জায়গায় নিয়ে যাওয়ার সময় কয়েক শ বাসিন্দা বিক্ষোভ করেন। সেখানকার মানুষ আশঙ্কা করছেন, থাড নামের সুরক্ষাব্যবস্থা নিজেই একটি লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতে পারে। এতে আশপাশের বাসিন্দারা ঝুঁকির মধ্যে থাকবে। বিক্ষোভকারীরা সরঞ্জাম বহনকারী সামরিক যানকে লক্ষ্য করে পানির বোতল ছুড়ে মারে। পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়।

চীন বলেছে, থাড মোতায়েনের সিদ্ধান্ত উত্তর কোরিয়াকে তেমন প্রভাবিত করতে পারবে না। দক্ষিণ কোরিয়ার মাটিতে থাড মোতায়েনে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে উল্লেখ করে এর আগে রাশিয়া এবং চীন এর বিরুদ্ধে সম্মিলিত অবস্থান জোরদার করার কথা বলেছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা

Wordbridge School
Link copied!