• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আগাম বাঁধাকপি চাষে সফলতা


ঝিনাইদহ প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮, ০২:২২ পিএম
আগাম বাঁধাকপি চাষে সফলতা

ছবি: সোনালীনিউজ

ঝিনাইদহ : আগাম শীতকালীন বাঁধাকপিতে স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্য বাস্তবায়ন হচ্ছে কৃষকদের। সবজি ফসল চাষে সব সময়ই একধাপ এগিয়ে থাকে ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার সবজি চাষীরা। সে কথা মাথায় রেখেই শীতকালের জন্য বসে না থেকে ব্যস্ত সময় পার করছেন গ্রীষ্মকালীন বাঁধাকপির পরিচর্যায়। অসময়ের ফসল হওয়ার কারণে বাজার মূল্য বেশি। তাই সেখানকার চাষীরা এখন দিন দিন আগ্রহী হচ্ছেন আগাম এই সবজি চাষে।

হরিণাকুন্ডু পারমথুরাপুর সিআইজির সদস্য মো. রুহুল আমিন, আব্দুল জলিল, ফজলুর রহমান ও মো. রমজান আলী এবং কন্যাদহ ব্লকের জালাল উদ্দিনের গ্রীষ্মকালীন বাঁধাকপি এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। কৃষিবিভাগ থেকেও তাঁরা পাচ্ছে প্রয়োজনীয় কারিগরি পরামর্শ। সব মিলিয়ে তাঁরা এবার আর্থিক সফলতার মুখ দেখতে যাচ্ছেন বলে আশা করছেন কৃষকরা।

মো. রুহুল আমিন, আব্দুল জলিল ও ফজলুর রহমান জানান, কৃষি বিভাগের পরামর্শে ট্রপিকসান জাতের আগাম শীতকালীন সবজি গ্রীষ্মকালীনে চাষ করেন। এখন পর্যন্ত ক্ষেতে ভালো বাঁধাকপি দেখা যাচ্ছে। তবে এসব সবজি বাজারে নেবার আগে যদি অতিরিক্ত বৃষ্টি এবং কোনো ভাইরাস না লাগে তাহলে বাজারমূল্য ভালো পাওয়া যাবে। এই বাঁধাকপি ওঠার পর ৬০ দিন পর আবার শীতকালীন সবজি চাষ করা যাবে।

হরিণাকুন্ডু কৃষি অফিসার আরশাদ আলী চৌধুরী জানান, গত বছর হরিণাকুন্ডু উপজেলায় অল্প জমিতে আবাদ ছিল, তবে এ বছর প্রায় ২৫ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন বাঁধাকপির আবাদ করা হয়েছে। ট্রপিকসান জাতের গ্রীষ্মকালীন বাঁধাকপির প্রতি ৩৩ শতকে ৬ হাজার চারা লাগানো হয়েছে। এটি রোপণের ৬০ দিনের পর ফসল সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। প্রতিটির গড় ওজন ৬০০ গ্রাম ধরলে এক বিঘায় ৩ হাজার ৬০০ কেজি উৎপাদনের আশা করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। প্রতি কেজির মূল্য ২৫ টাকা হারে প্রায় ৯০ হাজার টাকা স্থানীয় বাজারমূল্য পাওয়ার আশা করছেন কৃষকরা।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!