• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

আগে ঘুষ, পরে কাজ!


চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি মে ২২, ২০১৮, ০৭:৪২ পিএম
আগে ঘুষ, পরে কাজ!

রেজাউল করিম

চাঁপাইনবাবগঞ্জ : জেলার গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী রেজাউল করিম। তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ রয়েছে কমপ্লেক্সে তার কাজের মূলনীতিই হচ্ছে ‘আগে ঘুষ, পরে কাজ’। এ নিয়ে প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ও স্বাস্থ্য সহকারীরা গত ২ মাস আগে সিভিল সার্জন বরাবর একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন। কিন্তু কোন এক অজ্ঞাত কারণে তার বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি কর্তৃপক্ষ। আর এ বিষয়টি নিয়ে নানা আতঙ্কে আছেন সেখানে কর্মরতরা।

মার্চ মাসে ৪০ জন স্বাস্থ্য সহকারীর স্বাক্ষর করা ওই অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, প্রধান সহকারী রেজাউল করিমের কাছে প্রত্যয়নপত্র প্রদান, শান্তি বিনোদন ভাতা প্রদান, ছুটির দরখাস্ত, বর্ধিত বেতনের সুপারিশ, ভিটামিন এ ক্যাম্পেইনসহ বিভিন্ন কাজে গেলে তিনি নানা অজুহাতে প্রকাশ্যে ঘুষ দাবি করেন। আর ঘুষ না দিলে তিনি কর্মচারীদের বলেন, টাকা না দিলে কোনো কাজই হবে না। আর প্রকাশ্যে ঘুষ গ্রহণের বিষয়টির কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে দেয়া হয় নানা প্রকার হুমকি।

তাছাড়া এর আগেও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কর্মরত থাকা অবস্থায় একই ধরনের অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ তাকে বারবার অন্যত্র বদলি করে। এমনকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারীরা আগের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জাহাঙ্গীর আলমের মাধ্যমে সিভিল সার্জনকে লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে রেজাউলের অপকর্মের কথা তুলে ধরলেও ওই প্রধান সহকারীকে রক্ষার্থে তিনি তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেননি।

আর বর্তমান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. সালাউদ্দিন আহমেদ নিশ্চিত করে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী স্বাস্থ্য সহকারীরা সহজে কেউ মুখ না খুললেও তার আচরণে অতিষ্ঠ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দ্রুত তার প্রত্যাহার দাবি করে একত্রিত হয়ে রেজাউলের অপকর্মের বিরুদ্ধে পুনরায় জেলা সিভিল সার্জন ও স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা বিশ্বাসকে অবহিত করলেও তারা কার্যত কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে মৌখিক ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে বহাল রেখেছেন স্ব পদে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান সহকারী রেজাউল করিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার বিরুদ্ধে সিভিল সার্জনকে করা অভিযোগগুলো ষড়যন্ত্রের অংশ। আর অভিযোগ প্রসঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. সাইফুল ফেরদৌস মোহাম্মদ খাইরুল আতাতুর্ক কর্মচারীদের করা অভিযোগপত্র প্রাপ্তির বিষয়টি স্বীকার করে জানান, বিষয়টি রাজশাহী বিভাগীয় উপ-পরিচালককে অবহিত করা হয়েছে এবং তিনি এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!