• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আগে চীন, পরে সেনা সরাবে ভারত: সুষমা


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুলাই ২১, ২০১৭, ০৯:৩০ পিএম
আগে চীন, পরে সেনা সরাবে ভারত: সুষমা

ঢাকা: দোকালাম সীমান্তের শান্তি ভাঙতে চাচ্ছে চীন বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী(পররাষ্ট্রমন্ত্রী) সুষমা স্বরাজ। দেশটির পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছেন, চীন যদি চায় সীমান্ত থেকে ভারতীয় সৈন্য সরানো হোক, তাহলে আগে চীন তার সৈন্য সরিয়ে নেক। চীন সৈন্য সরিয়ে নিলে ভারতও সৈন্য সরিয়ে নিবে। 

সীমান্ত নিয়ে চীন-ভারত উত্তেজনা চলছে গত এক মাস ধরে। এই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কথা বলা হলো। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজই প্রথম কথা বললেন। বৃহস্পতিবার(২০ জুলাই) জাতীয় সংসদে চীন-ভারত উত্তেজনা নিয়ে তুমুল আলোচনা হয় ভারতের পার্লামেন্টে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে ভয়েস অব আমেরিকা।

প্রসঙ্গত, চীন, ভারত ও ভুটান সীমান্তের সংযোগস্থল দোকলামে গত প্রায় এক মাস ধরে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারতীয় ও চীনা সেনা। এ নিয়ে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। 

সুষমা তার বক্তব্যে বলেন, ২০১২-র চুক্তি অনুযায়ী, ওই তিন দেশের(চীন, ভারত ও ভুটান) সীমান্তের সংযোগস্থল নিয়ে সমস্যা হলে ত্রিদেশীয় আলোচনার মাধ্যমেই মেটাতে হবে। কিন্তু চীন একতরফাভাবে ওখানকার শান্তি নষ্ট করার চেষ্টা চালাচ্ছে। ফলে বাধ্য হয়েই সেখানে সেনা পাঠিয়েছে ভারত। তিনি আরো বলেন, তিন দেশের সীমান্ত যেখানে মিলেছে, সেখানকার স্থিতিশীলতা নষ্টের চেষ্টা হলে ভারতের নিরাপত্তাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই সীমান্ত পয়েন্ট নিয়ে ভারতের অবস্থান যে যুক্তিসঙ্গত, তা বুঝে প্রায় সব দেশই দিল্লির পাশে দাঁড়িয়েছে।

এই টানাপড়েনের মধ্যেই চীন ইতোমধ্যে জানিয়েছে, দোকালাম নিয়ে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনার পথ বন্ধ হয়ে যায়নি। তবে ভারত সেনা না সরালে, আলোচনা সম্ভব নয়। একইসঙ্গে ভারতের মনোভাবের তীব্র সমালোচনা করে চীনের ট্যাবলয়েড পত্রিকা ‘গ্লোবাল টাইমস’ জানিয়েছে, হিন্দু জাতীয়তাবাদের বাড়াবাড়ির জন্যই সমস্যা বাড়ছে।

মোদী সরকারকে খোঁচা দিয়ে পত্রিকাটির লিখেছে, নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর থেকে জাতীয়তাবাদের ঢেউয়ে দিল্লির চীন-নীতি ভেসে গিয়েছে। এটা সামাল না দেওয়া গেলে পরিস্থিতি যে আরও সঙ্গীন হয়ে উঠবে, সেই হুঁশিয়ারি দিয়ে পত্রিকাটির বক্তব্য, ভারতের উচিত ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ যাতে দেশকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে না দেয়, তা নিশ্চিত করা। এসব উত্তেজনার মধ্যেও ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে চীনে যাচ্ছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। তবে ওই বৈঠকে যোগ দেয়া উপলক্ষ্যে দোকালাম পরিস্থিতি নিয়ে চীনের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলার পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের।

সূত্র জানিয়েছে, এই বৈঠকে চীনের তরফে থাকবেন সে দেশের স্টেট কাউন্সিলর ইয়াং জিয়েচি। সাধারণত সীমান্ত সমস্যা মেটাতে ভারত ও চীনের দ্বিপাক্ষিক মেকানিজমে দু’দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন ডোভাল ও জিয়েচি-ই। ফলে ব্রিকসের পার্শ্ববৈঠকে ডোকা লা নিয়ে বৈঠক চাইতে পারে ভারত।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা

Wordbridge School
Link copied!