• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আচরণ পাল্টাতে হবে সরকারি অফিসের : অর্থ প্রতিমন্ত্রী


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ১১, ২০১৬, ০৬:১৫ পিএম
আচরণ পাল্টাতে হবে সরকারি অফিসের : অর্থ প্রতিমন্ত্রী

সরকারি অফিসগুলোতে সেবা গ্রহীতাদের সঙ্গে আচরণ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি মনে করেন, প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে মনোভাবেরও আধুনিকতা দরকার। তিনি আরও বলেন, আমিও এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এসেছি।

আজ বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমাদের আচরণগত কিছু বিষয় আছে, পুরনো দিনের আচরণ, সরকারি অফিসগুলোর চালচলন, আমি কাউকে দোষ দিচ্ছি না, আমি নিজেও এর মাঝ দিয়ে এসেছি। পরিবর্তনের হাওয়ার সাথে সাথে আমাদের এটিও পরিবর্তন হওয়া উচিৎ।”

মঙ্গলবার চট্রগ্রামে এক অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার কথা জানান তিনি।

‘ব্যবসায়ীরা বলেছেন, আমাদের সরকারি অফিসগুলোতে গেলে যে ব্যবহার পান তারা মনে করেন তা পুরোমাত্রায় সঠিক নয়। আমি একমত, তারা শত্রু হিসেবে নয় বন্ধু হিসেবে বলেছেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে এই আচরণ আধুনিক বন্ধুসুলভ বলে আশা করি।’

চীন সরকারের অনুদানের আওতায় বেনাপোল, চট্রগ্রাম, আইসিডি কমলাপুর এবং মংলা কাস্টমস হাউজের জন্য কন্টেইনার স্ক্যানার হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রতিমন্ত্রী।

এনবিআরকে আরও আধুনিক করার আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আধুনিক মানের এই স্ক্যানারগুলোতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সক্ষমতা বাড়বে। একশ ১৭ কোটি টাকার এই প্রকল্পে চীন  ৮০ শতাংশ অনুদান দিচ্ছে বলে জানান তিনি।

চীন বাংলাদেশের ‘পরীক্ষিত বন্ধু’ মন্তব্য করে এম এ মান্নান বলেন, “আমাদের স্বাভাবিক দৃষ্টি হল পূর্ব দিকে, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি, বাণিজ্যনীতিতে মনে করি স্বাভাবিক দৃষ্টি পূর্ব দিকে, অতীতে এ বিষয়ে আমরা অবহেলা করেছি। পূর্ব দিকে চীন, জাপান, কোরিয়া যারা অর্থনৈতিকভাবে অনেক শক্তিশালী। চীন নিয়ে আমরা অনেক আশাবাদী।”

চীনের রাষ্ট্রদূত মা মিংকিয়াং বলেন, “আমাদের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ থেকে ঘনিষ্ঠতর হচ্ছে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আমাদের উপস্থিতির কার্যকারিতা প্রমাণিত।”

বাংলাদেশ থেকে চীনে রপ্তানি বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “অবিশ্বাস্য হারে চীনের বিনিয়োগ বাড়ছে। এ বছর চীন থেকে বিনিয়োগ আগের বছরগুলোর তুলনায় বহুগুণে বেশি হবে।”

যে সব স্ক্যানার এনবিআরকে হস্তান্তর করা হয়েছে সেগুলো দিয়ে রাজস্ব আয় বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান বলেন, “আধুনিক মানের এই স্ক্যানারের মাধ্যমে কাস্টমস হাউজের কাজের গতি বাড়বে এবং এর সাথে সাথে রাজস্ব আদায়ও বৃদ্ধি পাবে।”

নতুন চারটি স্ক্যানারে প্রতি ঘণ্টায় ১৫ থেকে ২০টি কন্টেইনার স্ক্যান করা যাবে বলে এনবিআর’র অতিরিক্ত কমিশনার হোসেন আহমেদ জানান।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, চট্রগ্রাম কাস্টসম হাউজে ১২টি স্ক্যানার প্রয়োজন। তবে সেখানে রয়েছে মাত্র পাঁচটি। সেগুলোর মেয়াদও শেষের পথে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/মে

 

Wordbridge School
Link copied!