• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আজ আখাউড়া মুক্ত দিবস


ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি ডিসেম্বর ৬, ২০১৬, ০৬:৫৭ পিএম
আজ আখাউড়া মুক্ত দিবস

৬ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পূর্বাঞ্চলের প্রবেশদ্বার ও মুক্তিযোদ্ধার অন্যতম রণাঙ্গন জেলার আখাউড়া উপজেলা পাক হানাদার মুক্ত হয়।

মুক্তিযুদ্ধের এ রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে শহীদ হয়েছিলেন শহীদ সিপাহী বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালসহ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা। এছাড়া যুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনী ও রাজাকারদের হাতে প্রাণ দিতে হয় নারী শিশুসহ শত শত মুক্তিকামী সাধারণ মানুষের। মুক্তিযুদ্ধে শহীদের স্মৃতিস্বরূপ আখাউড়ার দুরুইন গ্রামে রয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের সমাধি। এছাড়াও গঙ্গাসাগর টান মান্দাইলে রয়েছে ৩৩ জন মুক্তিযোদ্ধার গণকবর।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ১৯৭১ সালের ৩০ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর আখাউড়ার উত্তর সীমান্তবর্তী আজমপুর ও রাজাপুর এলাকায় পাক বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিবাহিনীর যুদ্ধ হয়। ৩ ডিসেম্বর রাতে মুক্তিবাহিনী আজমপুরে শক্ত অবস্থান নিলে সেখানেও অবিরাম যুদ্ধ হয়। ওই যুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীর ১১ সৈন্য নিহত ও মুক্তিবাহিনীর দুজন সিপাহী ও একজন নায়েক সুবেদার শহীদ হন।

৪ ডিসেম্বর আজমপুরে পাক বাহিনীর মর্টারশেলের আঘাতে শহীদ হন লে. ইবনে ফজল বদিউজ্জামান। ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী সম্মিলিতভাবে আখাউড়া আক্রমণ করে। ৫ ডিসেম্বর তুমুল যুদ্ধের পর ৬ ডিসেম্বর সকালেই আখাউড়া সম্পূর্ণভাবে শত্রু মুক্ত হয়। পরে আখাউড়া ডাকঘরের সামনে লাল সবুজ পতাকা উত্তোলন করেন পূর্বাঞ্চলীয় রণাঙ্গনের প্রধান জহুর আহাম্মদ চৌধুরী।

এদিকে, যথাযোগ্য মর্যাদায় আখাউড়া মুক্ত দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে উপজেলার বিভিন্ন সংগঠন। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে-আখাউড়া উপজেলা ডাকঘরের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, আনন্দ শোভাযাত্রা, স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভা।

সোনালীনউিজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!