• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আজ থেকে বিআইডব্লিউটিসি’র ঈদ স্পেশাল সার্ভিস শুরু (ভিডিও)


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ৩০, ২০১৬, ০২:২৪ পিএম
আজ থেকে বিআইডব্লিউটিসি’র ঈদ স্পেশাল সার্ভিস শুরু (ভিডিও)

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) থেকে স্পেশাল সার্ভিস শুরু করবে। ঢাকা-বরিশাল নৌ-রুটে রাষ্ট্রীয় এই সংস্থার ৫টি জাহাজ দিয়ে ১০ জুলাই পর্যন্ত স্পেশাল সার্ভিস পরিচালিত হবে।

এছাড়া আগামী ২ জুলাই থেকে ১৯টি লঞ্চের মাধ্যমে বেসরকারি লঞ্চ মালিকদের সংগঠন অভ্যন্তরীণ যাত্রী পরিবহন সংস্থা বিশেষ সার্ভিস শুরু করবে। বরিশালের বিআইডব্লিউটিসি’র সহকারী মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ আবুল কালাম আজাদ জানান, এবার সংস্থার নিয়মিত ৫টি জাহাজ যাত্রী পারাপারে নিয়োজিত থাকবে। এগুলো হলো- পিএস মাহসুদ, অস্ট্রিচ, লেপচা, এমভি মধুমতি ও বাঙালি। এসব জাহাজ বরিশাল-ঢাকা-চাঁদপুর, ঝালকাঠী, হুলারহাট ও মোড়েলগঞ্জ রুটে চলাচল করবে। এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে লেপচা সন্ধ্যা ৬টায় ও মধুমতি সাড়ে ৬টায় যাত্রী নিয়ে ছেড়ে আসবে। আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত স্পেশাল সার্ভিস চলবে।

তিনি বলেন, ঘরমুখো যাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবে জাহাজের ৫০ ভাগ টিকেট এবার অনলাইনে দেয়া হয়েছে। ভাড়া পূর্বের ন্যায় রাখা হয়েছে। এছাড়া অভ্যন্তরীণ নৌ-রুটে বিআইডব্লিউটিসি’র সি-ট্রাক খিজির-৮ ও খিজির-৫ নিয়মিত চলাচল করবে। ১০ জুলাই পর্যন্ত বিশেষ সার্ভিস চালু থাকার কথা থাকলেও যাত্রীদের চাপ বেশি থাকলে তা বাড়ানো হতে পারে।

অন্যদিকে বেসরকারি লঞ্চ মালিকদের সংগঠন অভ্যন্তরীণ যাত্রী পরিবহন সংস্থা আগামী ২ জুলাই থেকে বরিশাল-ঢাকাসহ অভ্যন্তরীণ ২৮টি রুটে ঈদের বিশেষ লঞ্চ সার্ভিস চালু করবে। বরিশাল-ঢাকা নৌ রুটে এবার দিবা সার্ভিস গ্রীন লাইন ওয়াটার ওয়েজের ২টি জাহাজসহ মোট ১৯টি লঞ্চ যাত্রী পারাপার করবে। বিশেষ এই সেবা চলবে ঈদের ৭ দিন পর্যন্ত। এর মধ্যে পারাবাত কোম্পানির ৫টি, সুন্দরবন কোম্পানির ৩টি, সুরভীর ৩টি, কীর্তনখোলার ২টি, টিপুর ১টি, ফারহানের ১টি, কালাম খানের ১টি ও দ্বীপরাজের ১টি। এছাড়া গ্রীনলাইন ওয়াটার ওয়েজের ২টি জাহাজসহ মোট ১৯টি লঞ্চ যাত্রী পরিবহন করবে।

বেসরকারি লঞ্চ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, আগামী ২ জুলাই বেসরকারি লঞ্চের ঈদ স্পেশাল সার্ভিস শুরু করা হবে। এবছর যাত্রীদের যাত্রা নিরাপদ ও নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চসংখ্যক লঞ্চের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঢাকার ঘাটে স্ট্যান্ডবাই রাখা হবে ৫ থেকে ৭টি লঞ্চ। যাত্রীবোঝাই হলেই এসব লঞ্চ ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে আসবে।

এদিকে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে ব্যাপক নিরাপত্তামুলক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। এগুলো হলো পন্টুন ও গ্যাংওয়ে ব্যবহার উপযোগী রাখাসহ দুর্ঘটনা রোধে উদ্ধারকারী জাহাজ নির্ভীক ও টাগ স্ট্যান্ডবাই রাখা। নৌপথে পর্যাপ্ত বয়া-বিকনবাতি স্থাপন। অজ্ঞান ও মলম পার্টির অপতৎপরতা রোধে আইন-শৃ্খংলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর থাকবে বন্দর এলাকায়। ভিআইপি যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা না করে যাত্রী বোঝাই হওয়ার সাথে সাথে লঞ্চগুলো ঘাট ত্যাগ করতে হবে। ১ থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত নৌবন্দরে মেডিকেল টিম, ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরি দলের একটি টিম সার্বক্ষণিক উপস্থিত থাকবে। এছাড়া রাতের বেলায় বরিশাল-ঢাকা নৌ পথে মালবাহী কার্গো ও বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সোনালীনিউজ/এইচএআর

যাত্রীদের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফেরা (ফাইল ভিডিও)

 

Wordbridge School
Link copied!