• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও সরাইল মুক্ত দিবস


ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি ডিসেম্বর ৮, ২০১৬, ১০:৩১ এএম
আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও সরাইল মুক্ত দিবস

আজ (৮ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও সরাইল উপজেলা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে শত্রুমুক্ত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহর ও জেলার সরাইল উপজেলা। মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাঞ্চলীয় জোনের প্রধান জহুর আহমেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে এ অঞ্চলে যুদ্ধ চলে। ৬ ডিসেম্বর জেলার আখাউড়া উপজেলা মুক্ত হয়। 

একই দিন মুক্তিবাহিনীর একটি অংশ দক্ষিণ দিক থেকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে এবং মিত্র বাহিনীর ৫৭তম মাউন্টের ডিভিশন আখাউড়া-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেললাইন ও উজানিসার সড়ক দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দিকে অগ্রসর হতে থাকে। শহরের চতুর্দিকে মুক্তিবাহিনী ও মিত্র বাহিনীর শক্ত অবস্থান থাকায় পাক বাহিনীরা পালিয়ে যায়। তবে তারা পালিয়ে যাওয়ার সময় তৎকালীন ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজের অধ্যাপক কেএম লুৎফুর রহমানসহ কারাগারে আটক থাকা অর্ধশত বুদ্ধিজীবী ও সাধারণ মানুষকে চোখ বেঁধে শহরের কুরুলিয়া খালের পাড়ে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। এছাড়া শহর ছেড়ে যাওয়ার সময় পাকিস্তানি বাহিনীর সদস্যরা কলেজ হোস্টেল, অন্নদা স্কুল বোর্ডিং, বাজার ও গুদামসহ বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ করে।

৭ ডিসেম্বর রাতের আঁধারে পাকিস্তানি বাহিনীর সদস্যরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর ছেড়ে আশুগঞ্জের দিকে পালাতে থাকে। ৮ ডিসেম্বর কোনও বাধাঁ ছাড়াই মুক্তিযোদ্ধারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে প্রবেশ করে। এসময় সাধারণ মানুষ জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে মুক্তি বাহিনীকে অভিনন্দন জানান। পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর ভয়ে যারা এতদিন বিভিন্ন স্থানে পালিয়েছিলেন তারাও নির্ভয়ে শহরে আসতে থাকেন। ওই দিন সকালে  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তৎকালীন কোর্ট বিল্ডিংয়ে (বর্তমান পুরাতন কাচারি) স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন করা হয়।

এছাড়াও একই দিন সরাইলে মুক্তিযোদ্ধাদের অব্যাহত আক্রমণে ব্যর্থ হয়ে পাক হানাদার বাহীনি পালিয়ে যায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাথে শত্রুমুক্ত হয় জেলার সরাইল উপজেলা।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!