• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আজ রাতে উল্কাবৃষ্টি


বিজ্ঞান প্রযুক্তি ডেস্ক জানুয়ারি ৩, ২০১৭, ০৫:০৯ পিএম
আজ রাতে উল্কাবৃষ্টি

ঢাকা: তারা খসা আমরা সবাই জানি। হঠাৎ করেই রাতের আকাশে দেখা যায় এ ঘটনা। উজ্জ্বল আলোর রেখা ছুটে যায় আকাশের এপার ওপার। বাংলায় তারা খসা হলেও এটা আসলে মহাজাগতিক ঘটনা। যাকে বিজ্ঞানে বলা হয় উল্কাপাত।

রাতের আকাশে অনেক সময়ই আকস্মিকভাবে চোখে পড়ে। তবে এক সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ ধরে উল্কাবৃষ্টির দেখা মেলে মাঝে মধ্যে। আজ ৩ জানুয়ারি মধ্যরাত থেকে আগামীকাল ৪ জানুয়ারি দেখা যাবে উল্কাবৃষ্টি।

আকাশ পরিষ্কার থাকলে, খালি চোখেই দেখা মিলবে মহাজাগতিক এই আলোর খেলা। মিনিটে গড়ে দুটো করে উল্কাপাতের দেখা মিলবে। প্রায় প্রতি বছরই ঠিক এই সময় রাতের আকাশে ‘কোয়াড্রানটিড’ উল্কাবৃষ্টি দেখা যায়। এ বারেও কিন্তু নিরাশ করছে না আকাশ। আজ মধ্য রাত থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত বেশ কয়েক ঘণ্টা ব্যাপী স্থায়ী হবে এই উল্কাবৃষ্টি।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, সবচেয়ে ভালোভাবে এই উল্কাবৃষ্টির দেখা মিলবে উত্তর আমেরিকার বেশ কিছু জায়গায়। বিশেষত মিসিসিপি নদীর পশ্চিমে। ‘কোয়াড্রানটিড’ উল্কাবৃষ্টি সাধারণত বুটস নক্ষত্রপুঞ্জ থেকে ধেয়ে আসে। ঘণ্টায় ১২০টি উল্কা ঝরে পড়বে আকাশ থেকে। বায়নোকুলার বা টেলিস্কোপের দরকার নেই, রাতের আকাশে খালি চোখেই দেখা যাবে এই উল্কাবৃষ্টি। প্রথম ‘কোয়াড্রানটিড’ উল্কা বৃষ্টির দেখা মিলেছিল ১৮২০ থেকে ১৮৩০ সালের মধ্যে।

‘কোয়াড্রানটিড’ উল্কাবৃষ্টি

আকাশ পরিষ্কার থাকলে বাংলাদেশ থেকেও দেখা মিলতে পারে। উত্তর বা উত্তর-পূর্ব আকাশে দেখা যেতে পারে।

কেন উল্কাবৃষ্টি: উল্কা হল মহাকাশে ভেসে বেড়ানো নানান মাপের পাথরখণ্ড। ঘুরে বেড়াতে বেড়াতে পৃথিবীর অভিকর্ষের আওতায় এলে এরা পড়তে থাকে ভূপৃষ্ঠের দিকে। বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে সংঘর্ষ হতেই জ্বলে ওঠে উল্কারা। তখনই আমরা দেখতে পাই এদের। অধিকাংশ উল্কাই কিন্তু পৃথিবীর পিঠে পৌঁছনোর অনেক আগেই পুড়ে শেষ হয়ে যায়।

সোনালীনিউজ/এমএন

Wordbridge School
Link copied!