• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আজ শুভ বড়দিন


ডেস্ক রিপোর্ট ডিসেম্বর ২৫, ২০১৬, ১১:২৭ এএম
আজ শুভ বড়দিন

আজ রোববার ২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন। খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট এ দিনে বেথেলহেমে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতে প্রভু যিশুর এ ধরায় আগমন ঘটেছিল। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের খ্রিষ্টধর্মের অনুসারীরা যথাযথ ধর্মীয় আচার, আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করছেন।

ধর্মীয় এ উৎসবটি এবার বাংলাদেশে অন্যান্য বছরের চেয়ে ভিন্নমাত্রায় এবং আরো জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপিত হচ্ছে। কারণ, এই প্রথম কোনো বাঙালি কার্ডিনাল নির্বাচিত হয়েছেন। দুনিয়াজুড়ে খ্রিষ্টানদের ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস বাংলাদেশি নাগরিক আর্চ বিশপ প্যাট্রিক ডি রোজারিও সিএসসিকে সম্প্রতি কার্ডিনাল পদে উন্নীত করেছেন।

বড়দিন উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের গির্জাগুলো সাজানো হয়েছে জমকালো সজ্জায়। যিশুর জন্ম হয়েছিল গোয়ালঘরে। সেই স্মৃতিকে স্মরণ করে বড়দিনে গির্জাগুলোতে প্রতীকী গোয়ালঘর তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া সাজানো হয় ক্রিসমাস ট্রি। অনেকে তাঁদের বাড়িতেও গোয়ালঘর সাজান।

রাজধানীর পাঁচতারা হোটেলগুলোতেও সান্তা ক্লজ, ক্রিসমাস ট্রি, আলোকসজ্জায় বড়দিনের বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে। গির্জাগুলোতে হবে বিশেষ প্রার্থনা। থাকবে ধর্মীয় গান। বাড়িতে বাড়িতে তৈরি করা হবে কেক, পিঠাসহ সুস্বাদু খাবার। আপ্যায়ন করা হবে অতিথিদের। আজ সরকারি ছুটির দিন।

বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পৃথক বাণীতে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাঁর বাণীতে দেশে বিদ্যমান সম্প্রীতির সুমহান ঐতিহ্যকে আরও সুদৃঢ় করতে সাবইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, ‘আমাদের সংবিধানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। এখানে রয়েছে সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের নিজ ধর্ম পালনের পূর্ণ স্বাধীনতা।’ বড়দিন দেশের খ্রিষ্টান ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরাজমান সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি আরও সুদৃঢ় করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।

খালোদা জিয়া তাঁর বাণীতে হিংসা-বিদ্বেষ পরিহার করে সমাজে শান্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠায় সবাইকে এক হয়ে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ

Wordbridge School
Link copied!