• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আজিমপুরে গ্রেফতার তিন নারী শীর্ষ তিন জঙ্গির স্ত্রী


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৬, ১২:১০ এএম
আজিমপুরে গ্রেফতার তিন নারী শীর্ষ তিন জঙ্গির স্ত্রী

রাজধানীর আজিমপুরের জঙ্গি আস্তানা থেকে গ্রেফতার তিন নারী জঙ্গি শীর্ষ তিন জঙ্গির স্ত্রী। তিন জনই স্বামীর হাত ধরে জঙ্গি কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত হয়েছে। তিন নারী জঙ্গি একে অপরের পূর্ব পরিচিত। একজন বাদে বাকিরা উচ্চশিক্ষিত। এছাড়া নিহত মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী পলাতক জেবুন্নাহার শীলাও উচ্চশিক্ষিত। স্বামীর মাধ্যমেই জঙ্গিবাদে জড়িয়েছে সে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানতে পেরেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা।

সূত্র জানায়, আজিমপুরের আস্তানা থেকে তিন নারী জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়। এরা হচ্ছে নতুন জেএমবির শীর্ষ নেতা নূরুল ইসলাম মারজানের স্ত্রী আফরিন ওরফে প্রিয়তি (২৫), নিহত জঙ্গি তানভীর কাদেরী ওরফে আব্দুল করিমের স্ত্রী আবেদাতুল ফাতেমা ওরফে খাদিজা (৩৫) এবং আরেক জঙ্গি নেতা জামান ওরফে বাসারুজ্জামানের স্ত্রী শায়লা আফরিন (২৩)। এদের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় মামলা হয়েছে। তবে তাদের কারোরই স্থায়ী ঠিকানা লিপিবদ্ধ করা হয়নি।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ছানোয়ার হোসেন বলেন, আজিমপুরের আস্তানা থেকে  গ্রেফতার নারী জঙ্গিরা পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসাধীন আছে। চিকিৎসা শেষে তাদের আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এরপর তাদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।

পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট সূত্র জানায়, আফরিন ওরফে প্রিয়তির গ্রামের বাড়ি পাবনার ইশ্বরদী এলাকায়। তার বাবার নাম আব্দুল জলিল। মারজান তার খালাতো ভাই। চলতি বছরের জানুয়ারিতে মারজানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এরপর মারজানের সঙ্গে সে বাড়ি ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়।

সূত্র জানায়, প্রিয়তি স্থানীয় একটি মাদ্রাসা থেকে আলিম পাস করেছে। এরপরে আর পড়াশুনা করেনি। অপরদিকে জঙ্গি বাশারুজ্জামানের স্ত্রী স্নাতকে পড়া অবস্থায় বছর দুয়েক আগে বাসা থেকে নিখোঁজ হয়। তার বাবার নাম আবুল হাসেম। এ ঘটনায় শায়লার পরিবারের পক্ষ থেকে রাজধানীর কলাবাগান থানায় একটি জিডি করা হয়েছিলো। বাশারুজ্জামান ওরফে জামান ওরফে চকলেটের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে সে। আস্তানা থেকে উদ্ধার করা রুহী নামে এক বছর বয়সী শিশুটি তার। ওই শিশুকে আস্তানায় রেখেই সে অভিযানে থাকা পুলিশ সদস্যদের ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল।

সূত্র আরও জানায়, তানভীর কাদেরী ওরফে আব্দুল করিমের স্ত্রী আবেদাতুল আফরিন ওরফে খাদিজা। পরিবারের সদস্যরা তাকে আশা নামে ডাকতো। তার বাবার নাম কাউসার আহম্মেদ। আবেদাতুল আফরিন উচ্চশিক্ষিত। স্বামীর পাশাপাশি সেও একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতো। স্বামী তানভীর জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ার পর তার হাত ধরে সেও জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে। এরপর দুজনই একসঙ্গে চাকরি ছেড়ে দেয়। তার গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালি ইউনিয়নের পশ্চিম বাটকামারি এলাকায়।

তানভীর কাদেরীর পুরো পরিবারই জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত। তাদের যে দুই যমজ ছেলে রয়েছে বাবা-মায়ের হাত ধরে তারাও জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়েছে। এক ছেলে তাহরীম কাদেরী ওরফে রাসেলকে জঙ্গি আস্তানা থেকে আটকের পর ওই মামলায় তাকে ৫ নম্বর আসামি করা হয়েছে। আরেক ছেলেকে কথিত ‘জিহাদের পথে’ পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!