• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আতিয়া মহলের সবাইকে উদ্ধার, চলছে চূড়ান্ত অভিযান


সিলেট প্রতিনিধি মার্চ ২৫, ২০১৭, ০২:০১ পিএম
আতিয়া মহলের সবাইকে উদ্ধার, চলছে চূড়ান্ত অভিযান

সিলেট: সিলেট মহানগরের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকায় জঙ্গি আস্তানা ‘আতিয়া মহলে’ অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডো বাহিনীর সদস্যরা। বাড়িতে আটকে পড়া ২৯ পরিবারের নারী শিশুসহ ৫৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখন ওই ভবনের নিচ তলায় জঙ্গিদের ফ্ল্যাটে অভিযান শুরু হয়েছে।

শনিবার (২৫ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সময়ে ভবন থেকে জিম্মি বাসিন্দাদের উদ্ধার করা হয়। তবে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর পক্ষ থেকে উদ্ধারকৃতদের সংখ্যা এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।

এর আগে, শনিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে এ অভিযান শুরু হয়। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, পুলিশের সাঁজোয়া যান, কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স রাখা হয়েছে।

সকালে পুলিশের পক্ষ থেকে অপরেশন ‘স্প্রিং রেইন’ নামে অভিযান শুরুর কথা বলা হয়েছিল। তবে সেনাবাহিনী এ নাম পরিবর্তন করে অপারেশন ‘টোয়াইলাইট’ রেখেছে।

সেনাবাহিনীর আর্মি ইনটেলিজেন্সের দায়িত্বশীল একজন সাংবাদিকদের জানান, ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ নামে এই অভিযান সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে হচ্ছে। পুলিশ ও সোয়াট সহায়তা করছে। সেনাবাহিনীর কমান্ডোরা মূল অভিযান চালাচ্ছেন। ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আনোয়ারুল মোমেন অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এছাড়াই বাইরে আছেন পুলিশ, র‌্যাব, পিবিআই, ডিবি, এসবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শত শত সদস্য।

অভিযান চালানোর চূড়ান্ত প্রস্তুতির আগে এলাকার জনসাধারণ ও সংবাদকর্মীকে ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে সরে যেতে বলা হয়। এলাকার বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে।

এর আগে, শুক্রবার ভোর থেকে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ‘আতিয়া মহল’ ঘিরে রাখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। উস্তার আলীর নামে এক ব্যক্তির মালিকানাধীন পাঁচতলা ওই ভবনের নিচতলার একটি ফ্ল্যাটে নারীসহ একাধিক ‘জঙ্গি’ রয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। ওই ফ্ল্যাটের জানালা দিয়ে নারী ও পুরুষ ‘জঙ্গি’ শুক্রবার দুপুরের পর দ্রুত সোয়াত ফোর্স ‘পাঠাতে বলেছিল’। তারা বলেছিল, ‘তোমরা (পুলিশ) শয়তানের পথে, আমরা আল্লাহর পথে। দেরি কেন, দ্রুত সোয়াত ফোর্স পাঠাও।’

শুক্রবার বিকেল ৪টার কিছু আগে ঢাকা থেকে অতিরিক্ত উপকমিশনার আশিকুর রহমানের নেতৃত্ব ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় সোয়াত ফোর্স। এর কিছুক্ষণ পর বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটও আসে ঘটনাস্থলে। সন্ধ্যার দিকে দুটি অ্যাম্বুলেন্স আনা হয়। রাত ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে আসে মেজর রোকন ও মেজর রাব্বির নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো ইউনিটের একটি দল। রাতে সার্চ লাইট দিয়ে আলোকিত করে রাখা হয় পুরো আতিয়া মহল। বাড়ানো হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সংখ্যা। এ ছাড়া সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালের চিকিৎসকদের রাখা হয় প্রস্তুত। তবে ‘জঙ্গিদের’ ফ্ল্যাটে চূড়ান্ত অভিযান আর হয়নি।

এ ছাড়া শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক যুবককে আটক করা হয় বলে জানিয়েছিলেন পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়া।

আতিয়া মহলের মালিক উস্তার আলী জানিয়েছিলেন, প্রায় তিন মাস আগে একটি বেসরকারি কোম্পানির কর্মকর্তা পরিচয়ে নিচতলার ওই ফ্ল্যাট ভাড়া নেন কাওছার ও মর্জিনা নামে দম্পতি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ

Wordbridge School
Link copied!