• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে গরুর হাট


ঝালকাঠি প্রতিনিধি আগস্ট ১৭, ২০১৮, ০৭:২৩ পিএম
আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে গরুর হাট

ঝালকাঠি : ঝালকাঠি শহরের গুরুধাম এলাকায় আদালতের আদেশ উপেক্ষা ও জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা লংঘন করে বিরোধী জমিতে গরুর হাট বসানোকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা দেখা দিয়েছে। গুরুধাম এলাকায় পুরাতন গরুর হাটের স্থানে অস্থায়ী ট্রাকস্ট্যান্ড স্থাপন ও তার বিরুদ্ধে আদালত স্থিতাদেশ জারী করলেও ওয়ার্ড কাউন্সিলর দুলাল হাংসহ একপক্ষ জেলা প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে গরুর হাটের আয়োজন করায় দু’পক্ষে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। তারা স্থানীয় একটি বাড়ির বাগানের দেড় কাঠা জমিতে গরুর হাটের অনুমতি নিয়ে প্রশাসনের নির্দেশনা উপেক্ষা করে সড়কের পার্শ্ববর্তী এক কি. মি. এলাকা জুড়ে গরুর হাট বসানোর আয়োজন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ অবস্থায় জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে কঠোর ভূমিকা না নিলে বিরোধীও দু’পক্ষে সংহিংসতা ও গরুর হাটে আগত ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হতে পারে বলে নিরপেক্ষ সূত্র জানিয়েছে। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সুপার মো. জোবায়েদুর রহমানের সভাপতিত্বে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে পশুর হাটের ইজারাদারসহ জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও গণ্যমান্যদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় ঝালকাঠির সকল সড়ক-মহাসড়কে কোনো গরুর হাট বসাতে না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

আদালতের আদেশ সূত্রে প্রকাশ,  বরিশাল-ঝালকাঠি বাসস্ট্যান্ড থেকে শহরে প্রবেশের প্রধান সড়কের পাশে গুরুধাম এলাকায় সড়ক বিভাগের পতিত জমিতে ইতিপূর্বে ঈদুল ফিতরের পূর্বে গরুর হাট মেলানো হলেও প্রায় ৬ মাস পূর্বে উক্ত জমিতে পৌর কর্তৃপক্ষ একটি অস্থায়ী ট্রাকস্ট্যান্ড স্থাপন করেন। কিন্তু স্থানীয় কতিপয় বাসিন্দা উক্ত জমিতে তাদের মালিকানা দাবি করে আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত স্থগিতাদেশ জারি করেন। এক উক্ত স্থগিতাদেশ বাতিলের দাবিতে জেলা জজ আদালতে আবেদন জানালে গত ১৪ আগস্ট স্থগিতাদেশ বহাল রেখে আবেদন খারিজ করে দিলে বার্ষিক গরুর হাট বসানোর প্রক্রিয়াও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

অন্যদিকে গত ১৪ আগস্ট স্থানীয় আ. মজিদ হাং, আ. হামিদ খান, জাহাঙ্গীর হোসেন, মোফাজ্জেল হোসেন, জামাল হোসেন, আবুল কালামসহ ৭ জন জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন, কাউন্সিলর দুলাল হাংসহ কয়েকজন গুরুধাম যে স্থানে গরুর হাট বসানোর আবেদন করেছে সেখানে আদালতের স্থগিতাদেশ প্রদান করেছে এবং আবাসিক এলাকা হওয়ায় গরুর হাট বসানোর মতো কোনো পরিবেশ না থাকায় সেখানে গরুর হাট বসানোর অনুমতি না দেয়ার জন্য আবেদন জানান। তবে দুলাল স্থানীয় একটি বাড়ির বাগানের দেড় কাঠা জমিতে গরুরহাট বসানোর অনুমতি নিয়ে টাকা থাকলে দেশে বাঘের চোখ মেলে বলে এলাকার মানুষের সঙ্গে দম্ভোক্তি করছে বলে তারা অভিযোগে আরো জানান।

এ বিষয়ে গরুর হাটের আবেদনকারী ওয়ার্ড কাউন্সিলর দুলাল হাং, পুরানো গরুরহাট বসানোর স্থানে আদালতের স্থগিতাদেশ থাকার কথা স্বীকার করে সে স্থান থেকে সরিয়ে গরুরহাট বসানোর অনুমতি নেয়া হয়েছে বলে দাবি করেন। তবে সড়কের ওপর গরুরহাট কেন বসাচ্ছেন জানতে চাইলে কোনো সদুত্তোর দিতে পারেনি।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অমান্য করে রাস্তার ওপর কোনো গরুর হাট বসালে হাটের ইজারাদার ও গরুর ব্যবসায়ী কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে জানান। যারা প্রশাসনের অনুরোধ শুনবে না তাদের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে কর্মকর্তারা জানান।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!