• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আদালতের নির্দেশে বিচার বর্হিভূত হত্যা তদন্তে সিবিআই


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুলাই ১৪, ২০১৭, ০৯:১৩ পিএম
আদালতের নির্দেশে বিচার বর্হিভূত হত্যা তদন্তে সিবিআই

ঢাকা: সরকার, সেনাবাহিনী ও পুলিশের আপত্তিকে বাতিল করে ভারতের প্রায় ২০০ বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের(এনকাউন্টার) তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। তদন্তের জন্য সিবিআইকে দায়িত্ব দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আদেশে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘যদি কেবল সন্দেহের ভিত্তিতে নাগরিকদের রাষ্ট্রের শত্রু মনে করে হত্যা করা হয় তাহলে গণতন্ত্র অত্যন্ত মারাত্মক বিপদে পড়বে।’

সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার(১৪ জুলাই) মণিপুরের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে বিচার বহির্ভুত হত্যাকাণ্ডের ২০০টিরও বেশি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। সরকার ও সেনাবাহিনীর আপত্তি খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট দুই সপ্তাহের মধ্যে এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় এজেন্সিটির রিপোর্ট চেয়েছে। সেনাবাহিনী, আসাম রাইফেলস এবং মণিপুর পুলিশ এর বিরুদ্ধে ২০০০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে মণিপুরে ১ হাজার ৫২৮টি ভুয়া এনকাউন্টারে হত্যার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

সিবিআই পরিচালককে এ ব্যাপারে তদন্তের জন্য কর্মকর্তাদের একটি দল গঠন করতে নির্দেশ দেন বিচারপতি এম লোকউর এবং ইউ ইউ ললিতের সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ। এপ্রিল মাসে, ২৮২ টি মামলা যাচাইয়ের জন্য সুপ্রিম কোর্টে আসে। এর মধ্যে সেনা বাহিনী ও আসাম রাইফেলসসহ সশস্ত্র বাহিনীর সাথে সংশ্লিষ্টগুলোকে আলাদা করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিতে বেঞ্চকে বলা হয়। অনুরূপভাবে, মণিপুর সরকারকে স্থানীয় পুলিশ সংশ্লিষ্ট মামলা পরীক্ষা এবং আলাদা করার জন্য বলা হয়।

আদেশ অনুসারে, মণিপুর রাজ্য এই ২৬৫ টি মামলা পরীক্ষা করবে এবং মণিপুর পুলিশ সংশ্লিষ্ট মামলাগুলিকে পৃথক করবে। একইভাবে, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সেনাবাহিনী ও আসাম রাইফেলস সহ সশস্ত্র বাহিনীর সাথে সম্পর্কিত মামলাগুলিকে পরীক্ষা করে পৃথক করবে।

পিআইএল-এর উপর ভিত্তি করে, ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্ট অভিযুক্ত হত্যার ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করার নির্দেশ দিয়ে বলে যে, সশস্ত্র বাহিনী (বিশেষ ক্ষমতা) আইন এর অধীনে গোলযোগপূর্ণ এলাকায়  সশস্ত্র বাহিনী বা পুলিশ এর ‘অত্যধিক বা প্রতিশোধমূলক’ ক্ষমতা ব্যবহার অনুমোদনযোগ্য নয় । সুপ্রিম কোর্ট তার দেয়া আদেশে আরো উল্লেখ করেন যে, ‘যদি কেবল সন্দেহের ভিত্তিতে নাগরিকদের রাষ্ট্রের শত্রু মনে করে হত্যা করা হয় তাহলে গণতন্ত্র অত্যন্ত মারাত্মক বিপদে পড়বে।’

এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে যে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সেনাবাহিনীর মানবাধিকার বিভাগের মাধ্যমে পরিচালিত একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত ইতিমধ্যেই পরিচালিত হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে, গত ২০ বছরে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৫২৮টি মামলায় সঠিক ও সম্পূর্ণ তথ্য এখান থেকে পাওয়া যায়নি।

অপরদিকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, জম্মু ও কাশ্মীর এবং মণিপুরের মত বিদ্রোহ-প্রবণ অঞ্চলে জঙ্গিবাদ বিরোধী অভিযান চালানোর জন্য এফআইআর(মামলা) এর আওতায় আনা যাবে না। কিন্তু উচ্চ আদালত তাদের এই যুক্তিকে আমলে নেয়নি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা

Wordbridge School
Link copied!