আদালতের সিদ্ধান্ত দেখে বিএনপির পরবর্তী কর্মসূচি

ঢাকা : খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জেলা পর্যায়ে সভা-সমাবেশ, লিফলেট বিতরণের মতো নতুন কর্মসূচির মধ্যে আন্দোলন সীমিত রাখতে চায় বিএনপি। এসব কর্মসূচি ঘোষণার আগে রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার জামিন সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকছেন দলের নেতারা। জামিন নিয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত ইতিবাচক না হলে জ্যেষ্ঠ নেতারা আলোচনা করে নতুন কর্মসূচি চূড়ান্ত করবেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, নতুন কর্মসূচি এখনো তারা চূড়ান্ত করেননি। আদালতের সিদ্ধান্ত জানার পর জ্যেষ্ঠ নেতারা নতুন কর্মসূচি চূড়ান্ত করবেন। তার আগে জ্যেষ্ঠ নেতারা লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনা করে নেবেন।

তিনি বলেন, কর্মসূচির ধরন হবে শান্তিপূর্ণ। জনগণকে সম্পৃক্ত করে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি সফল করা হবে। সরকারের পুলিশ বাহিনী কালো পতাকা প্রদর্শনের মতো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা করেছে। নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছে। উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করছে। তাদের উসকানিতে পা দেবে না বিএনপি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, চেয়ারপারসনের জামিন বিলম্বিত হলে তার মুক্তির দাবিতে জনমত সংগঠিত করতে দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা জেলা পর্যায়ে সফর শুরু করবেন। জেলা পর্যায়ে স্থানীয় পেশাজীবী ও দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে সভা-সমাবেশ করবেন। বিএনপি চেয়ারপারসনকে সাজানো মামলায় জেলে পাঠানোর বিষয়ে দলের বক্তব্য জনগণকে অবহিত করা হবে। যাতে জনগণ সরকারের ফন্দি-ফিকিরের বিষয়টি বুঝতে পারে।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার সাজা হওয়ার পর কারাগারে রয়েছেন। তার মুক্তির দাবিতে ইতোমধ্যে তিন দফায় ৮ দিনের কর্মসূচি পালিত হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেওয়ার পর থেকে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা সেখানে প্রায়ই বসছেন। তারা প্রতিদিনকার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির দফতর সংশ্লিষ্ট এক নেতা জানান, ইতোমধ্যে দলের পক্ষ থেকে একটি লিফলেট করা হয়েছে। তা জেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবিতে যারা স্বাক্ষর করছেন তাদের লিফলেট দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয়ভাবে সর্বশেষ তথ্য যোগ করে নতুন লিফলেট তৈরি করা হবে। নতুন কর্মসূচি ঘোষণার পর সেগুলো ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিতরণ করা হবে।

খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবিতে নতুন কর্মসূচির বিষয়ে তাদের কিছু জানানো হয়নি। এখন তারা গণস্বাক্ষর কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই