• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
খালেদার মামলার নথি উচ্চ আদালতে

আদেশে দৃষ্টি সবার


আদালত প্রতিবেদক মার্চ ১২, ২০১৮, ০১:৩২ পিএম
আদেশে দৃষ্টি সবার

ঢাকা : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন আদেশের দিন সোমবার (১২ মার্চ) ধার্য করা হয়েছে। বিচারিক আদালতের রায়ের নথি গতকাল যথাসময়ে না পৌঁছানোয় আদেশ এক দিন পিছিয়ে দেন আদালত।

বিচারিক আদালতের নথি পৌঁছাতে বিলম্বের কারণে খালেদা জিয়ার জামিনের আদেশ হয়নি। এখন নথি পৌঁছানোর পর হাইকোর্ট কী আদেশ দেন বা তিনি জামিন পাবেন কি না, তা জানতে সবাই এখন উচ্চ আদালতের দিকে তাকিয়ে আছেন।

রোববার (১১ মার্চ) সকালে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ নথি না আসায় এক দিন পিছিয়ে নির্ধারণ করেন। এরপর দুপুর ১২টা ৫৪ মিনিটে কোতোয়ালি থানার এএসআই মঞ্জু মিয়া বড় একটি বাক্সে করে মামলার নথি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছান। হাইকোর্টের আদান-প্রদান শাখার সেকশন কর্মকর্তা কেএম ফারুখ হোসেন এই নথি গ্রহণ করেন। সেখান থেকে মামলার নথি ফৌজদারি আপিল শাখায় যায়। সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে নথি পৌঁছানো হয়েছে।

খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন রোববার হাইকোর্টের একই বেঞ্চের কার্যতালিকায় এক নম্বর ক্রমিকে ছিল। বেলা ১১টা ৪৪ মিনিটে শুনানি শুরু হওয়া পর্যন্ত নথি পৌঁছেনি।

আদালতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন আদালতকে বলেন, এ জামিনের জন্য রেকর্ডের (নথিপত্র) প্রয়োজন নেই। রেকর্ড ছাড়াই আদালত জামিন দিতে পারেন। এটা দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য এবং অসংখ্য নজিরও আছে। রেকর্ড ছাড়া জামিন দেওয়ার ক্ষমতা ও এখতিয়ার আছে আপনাদের।

এ সময় হাইকোর্ট বলেন, নজির আছে। আমরা রেকর্ড তলব করেছি। গত ২২ ফেব্রুয়ারি ওই আদেশ দিয়েছিলাম। মাঝে সাপ্তাহিক ছুটি ছিল। সে অনুযায়ী আজ ১৫ দিন শেষ হবে। দেখা যাক আমাদের আদেশ প্রতিপালন করে কি না। আমরা আগামীকাল (আজ) আদেশের জন্য রাখলাম।

এ সময় সরকার পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহম্মেদ উপস্থিত ছিলেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।

খালেদা জিয়ার পক্ষ্যে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী, খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, নিতাই রায় চৌধুরী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সগীর হোসেন লিয়ন ও ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান আদালতে ছিলেন।

বিএনপি নেতাদের মধ্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ছাড়াও জয়নুল আবদিন ফারুক ও আবদুল আউয়াল মিন্টু উপস্থিত ছিলেন।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, বয়স ও সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর সাজা দেওয়া হলো। রায়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ চারজনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং তাদের প্রত্যেককে ২ কোটি ৭০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেন আদালত। রায়ের পরপরই খালেদা জিয়াকে ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!