• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
২১০ স্টেশন উন্নয়নে বিশেষ প্রকল্প

আধুনিকায়ন হচ্ছে ব্রিটিশ আমলের রেলস্টেশন


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮, ০২:৩২ পিএম
আধুনিকায়ন হচ্ছে ব্রিটিশ আমলের রেলস্টেশন

ঢাকা : সারা দেশে পুরনো ও জরাজীর্ণ রেলস্টেশন আধুনিকায়ন করছে রেলপথ বিভাগ। প্রকল্পের আওতায় আধুনিকায়ন হচ্ছে ২১০ রেলস্টেশন। বাস্তবায়ন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে।

বাংলাদেশ সরকার ও জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা-জাইকার যৌথ অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। প্রকল্প ব্যয় ২৮৩ কোটি টাকা। জাইকা দিচ্ছে ২৬৩ কোটি টাকা। প্রকল্প ব্যয়ের বাকি ২০ কোটি টাকা দেবে বাংলাদেশ সরকার।

রেলপথ বিভাগের হিসাবে, সারা দেশে ২ হাজার ৮৬৭ কিলোমিটার রেলপথ রয়েছে। এসব রেলপথে চলাচলে যাত্রীদের সুবিধায় রয়েছে ৪৬০ স্টেশন।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, রি-মডেলিং প্রকল্পের আওতায় গত জুলাই থেকে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে ১০৬ এবং পশ্চিমাঞ্চলে ১০৪ স্টেশনে সংস্কার ও আধুনিকায়নের কাজ শুরু হয়। এর মধ্যে পূর্বাঞ্চলে ৭২ স্টেশনের কাজ গত জানুয়ারি মাসে সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ৩৪ স্টেশনের কাজ এখনো চলছে। আর পশ্চিমাঞ্চলে ১০৪ স্টেশন আধুনিকায়ন ও সংস্কারের কাজ চলছে। এর মধ্যে ৬৭ স্টেশনের কাজ শেষ পর্যায়ে। বাকি ৩৭ স্টেশনের কাজ এখনো শুরু হয়নি।

রেলের পূর্বাঞ্চলের কিশোরগঞ্জ, ভৈরব, নরসিংদী, রাজশাহী, নাটোর, আবদুল্লাহপুর, সান্তাহার, লালমনিরহাট স্টেশনগুলো আধুনিকায়নের কাজ শেষে জনগণ এর সুফল পেতে শুরু করেছে বলে জানান রেলওয়ের উপ-পরিচালক প্রকৌশলী সুলতান আলী। তিনি বলেন, স্টেশনগুলোতে নতুন ভবন নির্মাণসহ আধুনিকায়নের ছাপ লাগায় যাত্রী বাড়তে শুরু করেছে। স্টেশন ও কোচকে আধুনিকায়নের আওতায় আনা গেলে রেলের আয় বাড়বে।
 
সুলতান আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা অনুযায়ী রেলের সকল পর্যায়ে আধুনিকায়নের কাজ চলছে। তবে নিজস্ব আয় দিয়ে রেলের উন্নয়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। বিদেশি সংস্থার অর্থায়নে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে এখন অল্প অল্প করে রেলে আধুনিকায়নের ছাপ পড়তে শুরু করেছে। পর্যায়ক্রমে রেলের আরো উন্নতি করা হবে।

অন্যদিকে রি-মডেলিং প্রকল্পের আওতায় আধুনিকায়ন করা প্রকল্পগুলোতে বেশ কিছু অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পড়েছে রেলওয়ের মহাপরিচালক বরাবর। অভিযোগ উঠেছে, স্টেশনগুলোর অফিস ভবন নির্মাণ ও সিটিসি সিস্টেমসহ কম্পিউটার বেজড ইন্টারলকিং (সিবিআই) স্থাপনে বড় ধরনের দুর্নীতি হয়েছে।

এ রকম অভিযোগ পাওয়া গেছে নাটোর রেলস্টেশন সংস্কার ও আধুনিকায়ন কাজে। এর ঠিকাদারি কাজ পেয়েছিলেন রফিকুল ইসলাম। কাজে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, এই স্টেশনকে ঢেলে সাজানোর কাজে রেলপথমন্ত্রী তদারকি করেছেন। তা ছাড়া ডিসেম্বর মাসে নাটোর রেলস্টেশনের কাজ পরিদর্শন করতে এসেছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন। পরিদর্শন শেষে কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেন ডিজি। ঠিকাদার রফিকুলের দাবি, স্টেশন সংস্কারে নিম্নমানের কোনো কিছু ব্যবহার করা হয়নি।

অন্যদিকে নওগাঁ জেলাধীন আহসানগঞ্জ, শাহগোলা, রানীনগর রেলস্টেশন সংস্কার এবং আধুনিকায়নের কাজ নিম্নমানের হয়েছে বলে অভিযোগ করেন নাটোরের এই ঠিকাদার। রফিফুল ইসলাম জানান, ওই স্টেশনগুলো টেন্ডারের নিয়ম তোয়াক্কা না করে নামমাত্র সংস্কার করা হয়েছে। ওদের অনিয়মে বাধা দেওয়ায় আহসানগঞ্জ, শাহগোলা, রানীনগর রেলস্টেশনের ঠিকাদাররা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন রফিকুল ইসলাম।

এ বিষয়ে রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন বলেন, কিছু স্টেশনে আধুনিকায়ন কাজে অনিয়মের অভিযোগ এসেছে। এগুলো আমরা তদন্ত করব। তদন্ত না করে কোনো ঠিকাদারের অর্থ ছাড় দেওয়া হবে না।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!